ঢাকাসোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

কাজীর বিরুদ্ধে দেনমোহর হেরফেরের অভিযোগ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, নড়াইল

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭ , ০৬:৪৯ পিএম


loading/img

কাবিননামা জালিয়াতি করে দেনমোহরের পরিমাণ বাড়িয়ে ২ লাখ থেকে ৫ লাখ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নড়াইলের এক কাজীর বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন ওই ভুক্তভোগী।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার এক লিখিত অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম নড়াইল সদর উপজেলার সীমানন্দপুর গ্রামের কাজী রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন।

অভিযোগের বিবরণ থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার আলীগঞ্জ গ্রামের মৃত আ. ছবুর শেখের কন্যা মোছা. ছাবরিনা আক্তারের সঙ্গে দু’লাখ টাকা দেনমোহর ঠিক করে ২৫ হাজার টাকা ওয়াশিল ও চাহিবামাত্র ১ লাখ টাকা প্রদান এবং ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ উল্লেখ করে ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুনাথপুর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক শহীদুল ইসলামের বিয়ে হয়। 

বিজ্ঞাপন

গেলো ৭ জুলাই দাম্পত্য কলহের কারণে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সভাপতিত্বে শালিস হয়। তখন শহীদুলের সঙ্গে সংসার করবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেনমোহর পরিশোধের জন্য ৫ লাখ টাকার একটি কাবিননামার সত্যায়িত কপি দেখান ছাবরিনা।

ওই কাবিননামায় জালিয়াতির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ শহীদুল ও তার পরিবারের। কাবিননামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে দেনমোহরের দু’লাখ টাকার অঙ্কের ‘২’ কাটাকাটি করে ‘৫’ এবং কথায় লেখা ‘দুই’ শব্দটিকে  কোনোভাবে মুছে ‘পাঁচ’ করা হয়েছে।

ঘষামাজার কারণে কাবিননামাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রমাণস্বরূপ বলা যায়, কাবিননামাটির ডটেড লাইন মুছে গেছে ও ওপরের লাইনের তারিখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা পুনরায় লেখা হয়েছে। চাহিবামাত্র প্রদান ১ লাখ টাকার অঙ্কের ‘১’ ঘষামাজা করে ‘৪’ এবং ওই ঘষামাজার কারণে ‘১’ এর পরের দু’টা ‘০’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কাজী রকিবুল ইসলাম বলেন, আমার কাবিনে কোনো কাটাকাটি নাই্। উভয়পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে কাবিননামার দেনমোহর লেখা হয়। এটি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।

বিজ্ঞাপন

কে/সি

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |