গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড রাশেদ ওরফে রাশু এলাকায় একাধিক নামে পরিচিত ছিলেন।
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি বড় হয়েছেন রাজশাহীতে নানা বাড়িতে। সেখানে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার পর তিনি রাশেদ নাম বদল করে হয়ে যান রাশু। তবে নিজ এলাকায় রাশেদ মোহন নামেই পরিচিত ছিলেন।
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কাঞ্চনপুরের আব্দুস সালামের ছেলে আসলাম ইসলাম মোহন ওরফে রাশু। গ্রামে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে চলে যান রাজশাহীর পাবনা উপজেলার নানা বাড়িতে। সেখানেই পড়াশোনা করেন রাশু। এরপরেই জড়িয়ে পড়েন জঙ্গিবাদে।
নিজ গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে আসলেও চুপচাপ থাকতেন রাশেদ। তেমন কারো সঙ্গে মিশতেন না। এলাকায় বেশ ভদ্র ছেলে হিসেবেই সুনাম ছিল তার। সেই ছেলে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় হতবাক তার স্বজনরা।
রাশেদের চাচা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরটিভিকে বলেন, “রাশেদ নামে আমার কোনো ভাতিজা নেই। যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে আমাদের কেউ না।”
তবে এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় রাশেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান এলাকাবাসী।
গেলো শুক্রবার ভোরে গুলশান হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ আসলাম হোসাইন রাশেদ ওরফে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশু নাটোরের সিংড়া বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরকে/জেবি