গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বামপন্থীরা সরকারকে উন্মুক্ত বিতর্কের চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলো। সরকার সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে একতরফাভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। গ্যাসের দাম বাড়ানো তো দূরের কথা, অর্ধেক কমালেও সরকার বা সংশ্লিষ্ট গ্যাস কোম্পানির কোনো ক্ষতি হবে না। জানালেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
বামদলগুলোর জ্বালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিম বলেন, গ্যাসের দাম কমানোর জন্য বামপন্থীদের পক্ষ থেকে গণশুনানি করার ঘোষণা দেন তিনি। গ্যাসের দাম না কমালে এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে সারা দেশে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সরকারের যেকোনো গণবিরোধী সিদ্ধান্তকে মোকাবিলা করতে বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লুটেরাদের সুবিধা করে দিতেই শেখ হাসিনা সরকার দফায় দফায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন এ সরকারের কাছে জনগণের মতামত গুরুত্বহীন। কঠোর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে সমুচিত জবাব দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ, বাসদ নেতা কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মানস নন্দী ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড শহীদুল ইসলাম সবুজ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসজে