কাতারের প্রতি কোনো রকমের সহানুভূতি দেখালে কঠোর সাজা ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কেউ কাতারের প্রতি সহানুভূতি দেখালে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।
আমিরাতের অ্যাটর্নি জেনারেল হামাদ সাইফ আল-শামসিকে উদ্ধৃত করে গালফ নিউজ জানায়, ‘যদি কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, লিখিতভাবে কিংবা মৌখিকভাবে কাতারের প্রতি কোনো রকমের সহানুভূতি প্রদর্শন করে কিংবা পক্ষ নেয়, অথবা আমিরাতের অবস্থান নিয়ে আপত্তি তোলে তাহলে কঠিন এবং কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার’ অভিযোগ এনে সোমবার কাতারের সঙ্গে সৌদি এবং তার মিত্র বাহরাইন, মিশর ও আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
কাতারের রাষ্ট্র-পরিচালিত বার্তা সংস্থা হ্যাকের সূত্র ধরে কাতার ও আরব দেশগুলোর মধ্যে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়।
কাতারের ওপর এ অবরোধ আরোপের কৃতিত্ব দাবি করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ইসরাইল।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবাইর বলেন, ‘হামাস এবং মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন দিয়ে কাতার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং মিশরকে হেয় করছে। কাতারকে এ নীতি বন্ধ করতে হবে যাতে তারা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারে।’
এপি