প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশন। শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি না করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিড়িশিল্পকে রক্ষাসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী।
তিনি বলেন, বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্ন-স্তরের সিগারেট। বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশই নিম্ন-স্তরের। এসব নিম্ন-স্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন-স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য মাত্র এক টাকা বাড়ানো হয়েছে। এই স্তরে সিগারেটের দাম বাড়বে মাত্র ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ; যা খুবই সামান্য। মূল্য বৃদ্ধি না হওয়ায় বিড়ির বাজার দখল করে আছে নিম্ন-স্তরের সিগারেট। ফলে দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়িশিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিড়ি কারখানার মালিকদের অবদান অপরিসীম। তারা দেশে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়িশিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। এ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও নিম্ন-স্তরের সিগারেটসহ সিগারেটের কোনো স্তরে শুল্কা বৃদ্ধি করা হয়নি। এখানেও শুভঙ্করের ফাঁকি। এটি বিড়িশিল্পের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন করার ষড়যন্ত্র। নিম্ন-স্তরের সিগারেটের ভোক্তা বেশি থাকা সত্ত্বেও শুল্কারোপ বৃদ্ধি না করলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান শ্রমিকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, সহসভাপতি লোকমান হাকিম, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. হারিক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর, প্রচার সম্পাদক মো. শামীম ইসলাম, সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।