বেতন বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করছেন দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারিরা।
রোববার সকালে তারা প্রধান ফটকে তালা দিয়ে নগর ভবন ঘেরাও ও মানববন্ধন করেন। এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ভিতরে ঢুকতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকালে সিটি করপোরেশন ভবনের প্রধান দরজা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান নেন শতাধিক কর্মচারি। এ সময় নিজেদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি দুলাল শেখ বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পাওনা ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। ঈদের পর বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা বলেছিলেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজিবর আহমেদ মামুন বলেন, রাজশাহী নগর প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। দাবি দাওয়া তুলে ধরার পর তারা আমাদের আশ্বাসের পর আশ্বাস দিচ্ছে, যা এখন আমাদের প্রহসন মনে হচ্ছে।
ইউনিয়নের ১১ দফা দাবি হলো দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারিদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি, স্থায়ী কর্মচারিদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান, স্থায়ী কর্মচারিদের গৃহ নির্মাণে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা, মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের পোষ্যদের চাকরি প্রদান, মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের অবসরকালীন ভাতা প্রদান, স্থায়ী কর্মচারীদের বদলি, শোকজ ও সাসপেন্ড বন্ধ এবং বরখাস্তকৃতদের চাকরিতে পুনর্বহাল, সাংগঠনিক কাঠামো সংশোধনপূর্বক নিয়োগের ব্যবস্থা, মজুরিভিত্তিক কর্মচারিদের চাকরি স্থায়ী, কল্যাণ তহবিল বাস্তবায়নে চূড়ান্ত অনুমোদন এবং স্থায়ী কর্মচারিদের পোশাক, জুতা ও ছাতাসহ বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা।
এর আগে বেতন বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে গেলো ১২ জুন থেকে আন্দোলনে নামেন রাসিকের কর্মচারিরা। নগর ভবনের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি দিয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন। এতে সাড়া না পেয়ে গেলো ১৮ জুন তারা নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি মানার আশ্বাসে তালা খুলে দেয়া হয়।
এসএস