ঢাকা শহরের জলজট বা জলাবদ্ধতার জন্য আমরা সবাই কম-বেশি দায়ী। মহানগরীর অধিবাসী, জনপ্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। বললেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ (রোববার) দুপুরে গুলশান সেন্টার পয়েন্টে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে তৃতীয় আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর আরেকটি বড় সমস্যা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। ঢাকা ওয়াসার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল না থেকে প্রতিটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক বসানো উচিত। সেপটিক ট্যাংকে প্রাকৃতিক উপায়ে মানব বর্জ্য সংরক্ষিত থাকে যা অত্যন্ত নিরাপদ। তিনি এ ব্যাপারে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে একটি আধুনিক ও সুদূরপ্রসারী মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে গেলো ৫০ থেকে ৬০ বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশি-বিদেশি সংস্থার মতে, এ নগরীতে সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যা থাকতে পারে। কিন্তু বাস্তবে জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। তাছাড়া সিটির আয়তনও প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে নগরীর ভৌত কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বলেই জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এ সমস্যা নিরসনে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বল্প মেয়াদী ব্যবস্থা চালু রেখে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা হিসেবে ঢাকা মহানগরের জন্য আধুনিক ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, কঠিন বর্জ্য ঢাকা মহানগরীর অন্যতম বড় সমস্যা। যেখানে-সেখানে কঠিন বর্জ্য ফেলার বিষয়টি জলাবদ্ধতাকে বাড়িয়ে দেয়। ড্রেন, খাল সব কিছু এ কঠিন বর্জ্য দ্বারা ভরাট হয়ে পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে।
তিনি আরো বলেন, গৃহস্থালির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ধ্বংস না করা গেলে জলাবদ্ধতা ঠেকানো যাবে না।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঢাকা ১১-এর সংসদ সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহ।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, যেসব খাল ভরাট হয়ে গেছে সেগুলোতে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে ও বেদখল খালসমূহ পুনরুদ্ধার করতে হবে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
জেএইচ
