বাংলাদেশের নানান ধরণের স্টার্টআপগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েই চলছে। স্টার্টআপ খাতে গত এক দশকে বিনিয়োগ এসেছে ৮০ কোটি ডলারের বেশি, যার বেশির ভাগই বিদেশি বিনিয়োগ। বিদেশি এ বিনিয়োগ এসেছে ভিনদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির মাধ্যমে। ২০২১ ও ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশি স্টার্টআপে ৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ এসেছে। এর মধ্যে ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিদেশি বিনিয়োগ। বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলো ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২৩২টি চুক্তি থেকে ৮০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে।
সম্প্রতি এমন পরিস্থিতি নতুন উদ্যোক্তাদের নানান সংকট ও সুযোগ সম্পর্কে জানাতে মসলিন ক্যাপিটাল এক চা বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে উদ্যোগ বা স্টার্টআপসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়। তরুণ উদ্যোগের বিজনেজ মডেল থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ও আর্থিক বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়।
বৈঠকে মসলিন ক্যাপিটালের উপদেষ্টা মীর সাজেদ-উল-বাসার বলেন, এখনকার স্টার্টআপগুলোর বাংলাদেশে সুযোগ অনেক বেশি। সুযোগ বেশি থাকলেও লেগে থাকতে হবে। এক বছর কিংবা দুই বছরের মধ্যে যে সাফল্য আসবে বিষয়টি এমন নয়। তরুণ উদ্যোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠাতাদের আরও বেশি লেগে থাকতে হবে। সময় দিতে হবে। শ্রমের পাশাপাশি সৃজনশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
মসলিন ক্যাপিটালের কর্মকর্তারা এই বৈঠকের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের নানান বিষয়ে হাতে কলমে জানার সুযোগ করে দেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তা কে এম জেড হাসান মাহমুদ জানান, আমি সাইবার অ্যারোনটিক্স লিমিটেড নামের একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেছি। বৈঠকের মাধ্যমে আর্থিক নানান বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছি। এছাড়াও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে অনেক নতুন সুযোগ তৈরি করা যায় তা সম্পর্কে জেনেছি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আশা জাহিদ বলেন, এ ধরণের আয়োজন তরুণ উদ্যোক্তাদের আর্থিকবিষয়সহ নানান বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেয়। বাংলাদেশে ২০২১ সালে স্টার্টআপে বিনিয়োগ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। আমাদের দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এমন আয়োজন নিয়মিত করা প্রয়োজন।