ঢাকামঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

রমজানে বিলাসী বিদেশি ফল আমদানি বন্ধের সুপারিশ 

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ , ০৭:০৮ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে অতি বিলাসবহুল বিদেশি ফল আমদানি বন্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিউজ্জামান।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুপারশপ এবং অভিজাত এলাকার দোকানে আমদানি করা বিলাসবহুল বিদেশি ফল ড্রাগন, রাম্বুটান, অ্যাভোকাডো ও রকমেলন অতি উচ্চ দামে বিক্রি করা হয়। এতে আপেল, আঙুর ও কমলার মতো বিদেশি ফলের দাম বাড়ার পাশাপাশি দেশি ফলের বাজারে প্রভাব পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

এ এইচ এম সফিউজ্জামান বলেন, রমজানে অতি বিলাসবহুল ফল আমদানি বন্ধে দেড় মাস আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব বিদেশি ফলের দেশে উৎপাদন বাড়াতে কৃষি অধিদপ্তর কাজ করার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে রমজানে প্রয়োজনীয় খেজুর, মাল্টা, আপেল, কমলা ও আঙুর আমদানিতে সহায়তা দিতে বলা হয়েছে।

ফল ব্যবসায়ীদের তিনি বলেন, আমদানি করা বিদেশি ফল বন্দরে দ্রুত ফল খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশের পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, বিদেশি ফলের কারণে দেশি ফলেরও দাম বাড়ে। এটার সমন্বয় দরকার। গত রমজানে খেত থেকে ১০০ টাকা পিস তরমুজ এনে বাজারে ৮০০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, পণ্যের হাত বদলে অস্বাভাবিক দাম বাড়ছে। বিপণন আইনে এ ধরনের পণ্যে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লাভ করার কথা বলা হলেও ব্যবসায়ীরা করছেন কয়েকগুণ। রমজানে এটা আরও কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই।

সবাইকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ এইচ এম সফিউজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ীদের কম লাভ করতে হবে। ভোক্তাকেও সহনশীল হতে হবে। রমজান খরচের নয়, সংযমের মাস। রমজানের কৃচ্ছ্রসাধন ও পবিত্রতা বজায় রাখুন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |