সৌদি আরামকো তেলের উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও চুক্তি অনুযায়ী, আগামী মে মাসে এশিয়ার ক্রেতাদের কাছে পুরোপুরি জ্বালানি পণ্যটি সরবরাহ করবে। কোম্পানিটি দৈনিক ৫ লাখ ব্যারেল তেলের উত্তোলন কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববাজারে ঘাটতি দেখা দেবে তেলের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহে হঠাৎ প্রতিদিন আরও ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয় ওপেক প্লাস। চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নেয় মিত্ররা।
এতে চুক্তি অনুযায়ী, জ্বালানি পণ্যটি পাওয়া নিয়ে এশিয়ার ক্রেতাদের শঙ্কা ছিল। অবশেষে তাদের আশ্বস্ত করলো সৌদি আরব মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি।
ওপেকের ঘোষণার পর অপরিশোধিত ব্রেন্টের এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ। গত নভেম্বরের পর যা সর্বোচ্চ। এছাড়া একই সময়ে আরব লাইট ক্রডের দর বাড়ায় সৌদি আরামকো। ফলে এর আগে কম দামে কেনা তেল আগামী মে মাসে তারা দেবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন এশীয় ক্রেতারা।
বিশ্বে তেলের সর্ববৃহৎ ক্রেতা বাজার এশিয়া। সেখানে বিক্রয় মূল্যে জ্বালানি পণ্যটি আরামকোর সরবরাহ করার পেছনে কারণও আছে। সেটা হলো দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ অঞ্চলে চাহিদা কমতে পারে। মূলত সেই শঙ্কায় চুক্তি বজায় রেখেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি এ কোম্পানিটি।