মুরগির বাচ্চাতেই দিনে ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট: বিপিএ

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ , ১১:২০ এএম


মুরগির বাচ্চাতেই দিনে ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট : বিপিএ
ফাইল ছবি

সরকার নির্ধারিত দামের দুই থেকে তিনগুণ দাম রেখে শুধু মুরগির বাচ্চা থেকেই সিন্ডিকেট প্রতিদিন অতিরিক্ত ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। 

বিজ্ঞাপন

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকার এ সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। অথচ, পরবর্তী সময়ে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী করপোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৬০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করছে।

বিবৃতিতে বিপিএ সভাপতি দাবি করেন, প্রতিদিন সব জাতের মুরগির বাচ্চা ৩০ লাখ উৎপাদন করা হয়। যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোলট্রি খাত বর্তমানে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ (কাজী ফার্মস, নাহার অ্যাগ্রো, প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, সিপি বাংলাদেশ) আরও ১০ থেকে ১২টি করপোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোল্ট্রি সেক্টরে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সুমন হাওলাদার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। যা প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বিক্রয় মূল্য অত্যন্ত কম থাকায় প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এ সংকটের কারণে বহু প্রান্তিক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিও জানানো হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে–

১. ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

২. কপোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিক ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. প্রান্তিক খামারিদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা এবং বিশেষ প্রণোদনা চালু করতে হবে।

৪. সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে ডিম, মুরগি এবং পোল্ট্রি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে আরও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

আরটিভি/এসএইচএম-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission