কাটেনি ভোজ্যতেলের সংকট, বেড়েছে ইফতারসামগ্রী-মাংসের দাম

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫ , ১১:২২ এএম


দূর হচ্ছে না ভোজ্যতেলের সংকট, বেড়েছে ইফতারসামগ্রী-মাংসের দাম
ফাইল ছবি

পবিত্র রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিয়ে গলা ভেজাতে চান। বাজারে তাই লেবুর চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। শসা, লেবুর দামও ঊর্ধ্বমুখী। দেশি মুরগির দাম ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০০ টাকা। বাজারভেদে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা।  তবে বাড়েনি আলু ও পেঁয়াজের দাম। 

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৭ মার্চ) ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দ্রব্যমূল্যের এমন চিত্র পাওয়া যায়।

দেখা গেছে সরকার খেজুর, ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। তবে সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। এবারের রোজায় গত বছরের তুলনায় সয়াবিন তেল আমদানি বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। তার পরও দূর হচ্ছে না সংকট। বাজার পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ ভোক্তাদের এক বিরাট অংশ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। রোজার আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ১৯০-২০০ টাকা ছিল। একইভাবে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৩০-৩৫০ টাকা হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, রোজাতে বেশি সংখ্যায় ক্রেতারা মুরগি কেনেন, এ কারণে দাম বাড়ার প্রবণতা রয়েছে।

মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম সপ্তাহখানেক আগে কিছুটা কম ছিল। আর কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে খাসির মাংসের দাম।  গতকাল এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হয়েছে ১০৫০-১১০০ টাকায়। অন্যদিকে চাষের চিংড়ি, কই, শিং, তেলাপিয়া, রুই ও পাঙাশ মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। বাজারে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। যেমন প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেখা গেছে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে।  দুই সপ্তাহ আগে সাধারণ মানের লেবুর হালি ছিল ২০-৪০ টাকা, যা গতকাল ৪০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বড় লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশপাশে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  সপ্তাহখানেক আগে বেগুন ও শসার দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।  তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম। এ বছর রমজানের আগে সরকার খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমিয়েছে; যার ফলে আমদানি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, কম শুল্ক ও সরবরাহ বেশি থাকায় গত এক মাসের মধ্যে মানভেদে খেজুরের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। 

বিজ্ঞাপন

এক মাস আগের তুলনায় ছোলার দামও কেজিতে ১৫ টাকার মতো কমে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি চিড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আখের গুড় ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, খেজুরের গুড় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও মুড়ি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচা বাজারে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লেবুর এত বেশি দাম-খাব না। বেগুনেরও মৌসুম। কয়েক দিন ধরেই টানা দাম বাড়ছে। যেন দেখার কেউ নেই। তবে আগের মতোই কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০, দেশি আদা ১৩০ থেকে ১৬০, আমদানি করা আদা ২২০, দেশি রসুন ১৬০, আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

আরটিভি/এমএ/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission