জিএসপি স্থগিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
জিএসপি স্থগিত থাকায় বাংলাদেশের তেমন কোনো আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে না।তবে ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণ করেছে।এখন জিএসপি ফেরতে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।
বৃহস্পতিবার আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশ এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ২৬তম ইউএস ট্রেড শো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত বরার্ট মিলার উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ক্রেতাগোষ্ঠীর পরামর্শে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর পরিবেশ উন্নত, বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে।শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এরপরও জিএসপি স্থগিত রাখার কোনো কারণ নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ বাংলাদেশকে জিএসপি ফেরত দেয়া।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ আগেও কোনো জিএসপি সুবিধা পায়নি। টোবাকো, সিরামিক, প্লাস্টিকের মতো কিছু পণ্য রফতানির ওপর এই সুবিধা পাওয়া যেত। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সেটিও স্থগিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় ক্রেতা। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯৮৩ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ১৭০৩ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চমানের পণ্য ও সেবা বাংলাদেশে প্রদর্শনের এবং বাংলাদেশে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান রাখার ভালো সুযোগ হচ্ছে ট্রেড শো। ২৬তম বার্ষিক ট্রেড শো এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যেকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক একটা ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ৪৩ শতাংশ বেড়ে দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
পরে ইউএস ট্রেড ফেয়ারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে শুরু হওয়া তিনদিনের ট্রেড শো তে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭৪টি স্টল অংশ গ্রহণ করেছে।
এমসি / এমকে
মন্তব্য করুন