ব্যাংকে সরকারের ঋণ ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা: অর্থমন্ত্রী
সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংক থেকে মোট ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। একই সময়ে সরকার ব্যাংকগুলোকে ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধও করেছে। ফলে এই ১০ বছরে ব্যাংকগুলোতে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। বললেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলীর এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার আরেক প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৭২টি দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সঙ্গে সমঝোতা সই করেছে। এসব দেশের সঙ্গে নিয়মিতভাবে এ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় চলছে।
বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাজেটে বৈদেশিক ঋণ/আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৪৪৭ মিলিয়ন ডলার বা ৭১ হাজার আটশ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট বৈদেশিক ঋণ/আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৩ হাজার ২৩ কোটি টাকা।
গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে শেয়ারবাজারে কিছু তারল্য সংকট থাকলেও ব্যাংকিং খাতে কোনও তারল্য সংকট নেই। বিরাজমান তারল্য সংকট কাটিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গত জানুয়ারিতে তার কার্যালয়ে একটি সভা করেন। সরকার মনে করে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে একটি গতিশীল ও শক্তিশালী পুঁজিবাজারের উপস্থিতি অপরিহার্য। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য যে ধরনের সাহায্য প্রয়োজন, সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
এমকে
মন্তব্য করুন