সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতি সংস্কার, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সি-ব্লক থেকে একত্রিত হয়ে মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি একাডেমিক ভবন হয়ে বাদাম তলায় সাধারণ বক্তব্যের মাধ্যমে ‘বাংলা ব্লকেড’ এ একাত্মতা প্রকাশ করে, মূল ফটক থেকে বাইশ মাইল পৌঁছায়। দুপুর ১টা পর্যন্ত সড়কটি অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম জানান, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র চাই। সাম্যের রাষ্ট্রে কোটা থাকবে শুধুমাত্র অনগ্রসর শিক্ষার্থীর জন্য। আমরা চাই কোটার যৌক্তিক সংস্কার হোক।
যৌক্তিকতার কথা উল্লেখ করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাব উদ্দিন জানান, সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে রাজনীতিকরণ দূষণীয়।
বিক্ষোভ থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করা, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি না মেনে নেওয়া হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে যোগদানের আহ্বান করেন তারা।