খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ অনশন শুরু করেন ছাত্রসংসদের সদস্যরা। তবে বিকেল থেকে প্রতীকী অনশন চলছিল।
আমরণ অনশনে যুক্ত হয়েছেন- ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব মহির আলম, লিমন মাহমুদ, রেজওয়ান আহমেদ, সাকিব আহমেদ, সাব্বির উদ্দিন, আহনাফ রহমান, আনিকা তাহসিনা, সায়লা আক্তার প্রমুখ।
কুয়েটের ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সদস্যসচিব সাকিব আহমেদ বলেন, আমরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছি।
এর আগে, মঙ্গলবার টিএসসিতে এক কর্মসূচি থেকে এদিন রাত ১০টার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্যকে পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ‘কুয়েট বাঁচাতে শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখান থেকে দেশের সব (স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) এই ক্লাস বর্জন কর্মসুচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তবে, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া, বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
আরটিভি/কেএইচ