বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশেষ ‘মুক্ত আলোচনা’।
রোববার (৪ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’ (গবিসাস)-এর আয়োজনে গবিসাস কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আমার দেশ পত্রিকার ফটো এডিটর এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু বলেন, যতক্ষণ মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ না করেন ততক্ষণ সংবাদমাধ্যমগুলো মুক্ত এবং অবাধ সাংবাদিকতার চর্চা করতে পারে। দেশের অধিকাংশ মিডিয়া হাউজগুলো নষ্ট হয়ে গেছে এবং সাংবাদিকতার মান খর্ব হয়েছে এসব সংবিধিবদ্ধ নানা কারণেই। তবে নিজেদের মর্যাদা সমুন্নত রেখে কাজ করতে থাকলে আশা করা যায়, আগামীতে সংকটগুলো দূর হবে।
আজকের পত্রিকার সাভার-আশুলিয়া প্রতিনিধি এবং গবিসাসের সাবেক সভাপতি রিফাত মেহেদী বলেন, সমসাময়িক দিনে ‘এআই’ বিশেষ প্রভাব বিস্তার করছে। আগামীতেও এর প্রভাব বাড়বে। তবে ফ্যাক্ট চেকিং এবং তথ্যে সম্ভারের জন্য এআইকে বিশেষায়িত প্রভাবে ব্যবহার করতে হবে। সার্বিক বিষয় সমূহে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং একইসঙ্গে বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর বলয় মুক্ত হয়েই সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে হবে।
সমসাময়িক এবং ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার গুরুত্ব উল্লেখ করে গবিসাসের সভাপতি সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকের প্রশ্ন বা সংবাদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু চাকরিচ্যুত করা বা মব সৃষ্টি করে হেনস্তা করা ভালো দৃষ্টান্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা একপ্রকার জলে বসে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোও বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকে। সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক হেনস্তা নতুন কিছু না। ফলে দীর্ঘ ধৈর্য্য এবং সাহসিকতার মধ্য দিয়েই এই সময়টা পার করতে হয়।
গবিসাসের সাধারণ সম্পাদক ইভা আক্তারের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন গবি গণসংযোগবিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, গবিসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসান, প্রচার সম্পাদক মাহিদুজ্জামান সিয়াম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গবিসাসের সদস্য-শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
আরটিভি/এমকে/এস