ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার রাতে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত এবং এ সংক্রান্ত আইনি ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত ধারাবাহিক পদক্ষেপ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সাম্যর পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
বুধবার উপাচার্য কার্যালয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাম্যর পিতা মো. ফকরুল আলম এই সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং সাম্যর ৩ ভাই এস. এ. এম. আমিরুল ইসলাম, এস. এ. এম শরীফুল আলম ও এস. এ. এম শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে আমরা সকল প্রকার রাজনীতির বাইরে থাকতে চাই।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে সাম্যর পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করা হবে। তিনি সাম্যর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা তাদের পাশে থাকবে।
অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাম্যর পিতা মো. ফকরুল আলম।
আরটিভি/এফএ