পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর একটি পরম আরাধ্য স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কখনো কখনো নানা বাধা-বিপত্তি এসে থমকে দেয় অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থীর এগিয়ে চলার পথ। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ সেই থমকে যাওয়া স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন দুই অসহায় শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে।
জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন বায়েজিদ বোস্তামি। কিন্তু প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চায়ন ফি জমা দেওয়ার মতো অর্থসামর্থ্য ছিল না তার। তার বাবা একজন ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই অবস্থায় বায়েজিদ যখন দিশেহারা, তখন তার পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল নেতা আনোয়ার পারভেজ। তিনি সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে বায়েজিদের প্রাথমিক ভর্তি ফি ৫০০০ টাকা পরিশোধ করেন। চূড়ান্ত ভর্তি পর্যন্ত পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
অন্যদিকে, তাসনিম জান্নাত নামের এক মেধাবী শিক্ষার্থী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাউন্টিং বিভাগে ভর্তি হলেও পারিবারিক জটিলতার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। পুনরায় শিক্ষাজীবন শুরু করার ইচ্ছা থাকলেও প্রশাসনিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে আনোয়ার পারভেজ তার পুনঃভর্তির ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বায়েজিদ বলেন, আমার পরিবারের অবস্থা ভালো নয়। বাবা ফুটপাতে কাপড় বিক্রি করেন। ভাইদের সহযোগিতা চাইলে পারভেজ ভাই নিজেই আমার প্রাথমিক ভর্তি ফি দিয়ে দেন। এমন সহযোগিতা কখনো ভুলব না।
তাসনিম বলেন, গতবার ভর্তি হলেও পারিবারিক সমস্যায় চালিয়ে যেতে পারিনি। এ বছর আবার ভর্তি হতে চাইলে জটিলতায় পড়ি। তখন ভাইদের সহযোগিতায় আবারও আমার স্বপ্ন পূরণ হয়। পারভেজ ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ বিষয়ে আনোয়ার পারভেজ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনি যেমন অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান, আমরাও সেই পথেই হাঁটছি। রাজনীতি মানে কেবল ক্ষমতা নয়, এটি মানবিকতার উজ্জ্বল রূপ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল অতীতেও শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আরটিভি/এমএ/এআর