বন্ধ হয়ে যাবে স্টার সিনেপ্লেক্স!
বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে আমাদের সিনেমা হলসমূহ বিগত প্রায় ৫মাস যাবৎ বন্ধ। যার ফলে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। দর্শকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে উচ্চ সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের তিনটি নতুন শাখা চালু করা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধের কারণে আমাদের কোনো আয় নেই। ঋণের সুদ এবং কর্মীদের বেতন চালিয়ে নেয়া রীতিমত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় সিনেমা হল চালু না হলে এবং সরকারের কাছ থেকে জরুরি আর্থিক সহায়তা না পেলে আমাদের হলগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। দ্রুত সিনেমা হল দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া এবং সরকারের আর্থিক তহবিলই এই মুহূর্তে চলচ্চিত্রশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন বার্তাই দিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।
তিনি বলেছেন, এই দুঃসময়ে আমাদের শেষ ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই পারেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই চলচ্চিত্র শিল্প এবং এর সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষ ও তাদের পরিবারকে রক্ষা করতে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের নিম্নলিখিত দাবি সমূহ তুলে ধরছি:
১) নগরবাসীর বিনোদনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনতিবিলম্বে সিনেমা হলসমূহ খুলে দেয়া হোক।
২) জরুরি আর্থিক সহায়তা কিংবা প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা।
৩) সিনেমা হলের টিকেটের উপর সকল প্রকার মুসক ও কর মওকুফের সুযোগ প্রদান।
৪) সুদবিহীন ঋণ প্রদানের অনুমোদন।
৫) উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র সমূহ শর্তহীন ভাবে আমদানীর অনুমতি প্রদান।
৬) শপিংমল কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুরোধ, করোনাকালীন পরিস্থিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রতিটি শাখা বিভিন্ন শপিং মলে ভাড়ায় পরিচালিত হয়। এই করোনাকালীন সময়ে শপিং মল কর্তৃপক্ষের কাছে ভাড়া মওকুফ করা ও অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক ভাড়া নেয়ার অনুরোধ করছি।
৭) প্রযোজক সমিতির কাছে অনুরোধ, সেন্সর পাওয়া সিনেমাগুলো মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। শুধুমাত্র সিনেমা হল খুললেই হবে না নতুন ছবি মুক্তি না পেলে দর্শক হলে আসবে না।
এম
মন্তব্য করুন