ঢাকা

তাহসানের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয়: মিথিলা

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ , ১০:৩৭ পিএম


loading/img
রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা || ছবি-ফেসবুক

বিয়ের বিচ্ছেদের পর সাবেক স্বামী তাহসান খানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। তার দাবি নিয়মিত তাদের কথাও হয়।

বিজ্ঞাপন

২০০৬ সালের বিয়ে কণ্ঠ শিল্পি তাহসানের সঙ্গে বিয়ে করেন মিথিলা। বিনোদন জগতে এই জুটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। ২০১৩ সালে তাদের পরিবারে জন্ম হয় কন্যা সন্তান আয়রার। যদিও ২০১৭ সালে বিচ্ছেদ হয় তাহসান-মিথিলার। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কলকতার চলচিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বিয়ে হয় তার।

আরও পড়ুন...বোট ক্লাবে পরীমণির নতুন ভিডিও প্রকাশ 

সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন এই শিল্পী। তিনি বলেন, ‘‘তাহসান আমার সাবেক স্বামী। আমরা আজও বন্ধু। আমাদের প্রতিদিন কথা হয়। মানুষকে বুঝতে হবে আমরা দুজনে এক বাচ্চার বাবা-মা। আমাদের সম্পর্কটা এখন বন্ধুর মতো। আর এই সম্পর্ক মেয়ে আয়রার জন্য খুব জরুরি। আমার আর তাহসানের স্বাভাবিকতার জন্যই আয়রা আমায় আজ বলতে পারে, ‘মা আমি বাবার কাছে যাব’। আমার অন্যান্য বন্ধুদের তো দেখেছি বিবাহ বিচ্ছেদের পরে পারস্পরিক সম্পর্ককে তারা এত তিক্ত করেছে যে তার প্রভাব বাচ্চার ওপর এসে পড়েছে। আয়রা সেখানে স্বাভাবিক পরিবেশে বড় হচ্ছে। তবে এখন আয়রার স্কুল আর নতুন বই নিয়ে চিন্তায় আছি। কলকাতার সংসারটাও গোছাতে হবে।’’

বাংলাদেশি তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন মিথিলা। এমটাই মনে করেন তিনি। বিষয়টিকে এখন আর হালকাভাবে নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

মিথিলার ভাষা, ‘‘দেশের মানুষের সবচেয়ে বেশি রাগ আমার ওপর। মানুষ প্রশ্ন করছেন মেয়ে হয়ে কেন আমি বিবাহ বিচ্ছেদ করলাম? মেয়েদের নাকি এ সব করতে নেই। তাহসানের ওপর কিন্তু মানুষের রাগ নেই। রাগ যত আমার ওপর। আমি কেন বিয়ে করলাম? আর সৃজিত তো মুসলমানও নয়। আমি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে কলুষিত করেছি। আমি নাকি ‘চরিত্রহীন মা’। এই ‘অসভ্য’ মা ‘অসভ্য’ জাতির জন্ম দেবে। এবার কিন্তু সময় এসেছে আমরা সবাই একসাথে মিলে, অনলাইন তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই হয়রানি বন্ধ করার উদ্যোগ নিই। হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হোক সমস্বরে।’’

বিজ্ঞাপন
Advertisement

ওয়াই

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |