একের পর এক বিতর্কিত ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে অবশেষে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। সম্প্রতি বিভিন্ন টকশো ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া কিছু বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সর্বশেষ রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাতে চিত্রনায়িকার মাহিয়া মাহিকে অশ্লীল আক্রমণ ও মেরে ফেলার হুমকির ফোনালাপ ফাঁস হলে সেই সমালোচনার ঝড় আরও তীব্রতর হয়। এর আগেও চিত্রনায়িকা মৌসুমীর শারীরিক গঠন ও ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের অভিনয় নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন এই মুরাদ।
এসব নজরে এসেছে বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের। ডা. মুরাদের এই অশ্লীল কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কাজী হায়াত জানান, কোনো এক অনুষ্ঠানে ডা. মুরাদের মন্ত্রী বক্তৃতা শুনে হতবাক হয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাজী হায়াৎ বলেন, আমার পরিচালিত ‘বীর’ চলচ্চিত্রের মুক্তি উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে মুরাদ হাসান এসেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে আলমগীর, ফারুকও ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছিলেন এই মন্ত্রী। তার সেদিনের সেই বক্তব্যে আমি হতবাক ও নির্বাক হয়েছিলাম। একজন মন্ত্রী এভাবে বক্তৃতা করেন! তিনি চলে যাওয়ার পর আমি অনেককে বলেছিলাম, এই লোকটাকে পাগল মনে হলো। ওটাই ছিল মুরাদ হাসানের প্রথম বক্তব্য শোনা আমার। আর প্রথম দিনের বক্তব্য শুনেই এমন মন্তব্য করেছিলাম।
চিত্রনায়িকা মৌসুমীর শারীরিক গঠন নিয়ে মুরাদের কটূক্তির বিষয়ে এ নির্মাতা বলেন, ‘ইট ইজ ওয়ান কাইন্ড অব অ্যাবিউজড। এটা মানসিক নির্যাতন করার শামিল। সেক্সুয়ালি হ্যারেসমেন্ট যেমন অপরাধ, এটিও একটা অপরাধ। এটা পাগলামিও বটে। আমি যদি রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটা মেয়েকে বলি আপনি এত মোটা কেন? একজন মানুষের স্বাভাবিক মানসিক প্রক্রিয়ায় এমন কথা ভীষণভাবে আঘাত করে।’
কাজী হায়াত আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘একজন মন্ত্রী একজন নায়িকাকে, একজন নারীকে নিয়ে এভাবে বলতে পারেন! আমার মেয়ে আজ খাবার টেবিলে বলছিল, আব্বা, চলচ্চিত্রের নায়িকারা এত অসহায় ইদানীং টের পাচ্ছি। প্রভাবশালীরা কতটা প্রভাব দেখাতে চান তাদের ওপর। এটা এখন বুঝছি।’
কেইউ/এসকে