আমাদের সমাজে খারাপ মানুষ যেমন আছে, তেমনি ভালো মানুষও আছে। ভালো এবং মন্দের দ্বন্দ্ব নিয়েই আরটিভির নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘চিটার এন্ড জেন্টেলম্যান।’ নাটকটি হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতি শনি, রবি ও সোমবার রাত ১০টায় আরটিভির পর্দায় দেখা যাবে নাটকটি।
সঞ্জিত সরকারের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, আ খ ম হাসান, উর্মিলা শ্রাবন্তি কর, সাজু খাদেম, নাবিলা বিনতে ইসলাম, আরফান আহমেদ, প্রাণ রায়, আইরিন তানি, ডা. এজাজ, তাহমিনা সুলতানা মৌ, ফারুক আহম্মেদ, ওলিউল হক রুমি, রিমি করিম, শ্যামল জাকারিয়া, তারেক স্বপন, আল মনসুর, আবদুল্লা রানা, মিলন ভট্ট, হোসনে আরা পুতুল, শফিক খান দিলু, বিনয় ভদ্র, মিলি বাসার, আমিন আজাদ, পারভেজ আক্তার, মতিউর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শেখ মাহবুবুর রহমান, অনামিকা, সিলভি, হায়দার কবির মিথুন, রিমো রোজা খন্দকার ও তন্ময় সোহেল প্রমুখ।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ঢাকার অদূরে ভাঁদুন গ্রাম। এক সময়ের ছায়াঘেরা মনোরম সবুজ প্রকৃতির সেই গ্রাম ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শহরের বিত্তবান লোকেরা গ্রামে জায়গা কিনে বিলাসবহুল রেস্টহাউজ তৈরি করছে। শিল্পপতিরা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। গ্রামের প্রভাবশালী দালাল চক্রের মাধ্যমে তারা এসব কাজ করছে।
ভাঁদুন গ্রামটি ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন এসে জমি কিনে বাড়ি করছে। এলাকার আদিবাসী এবং বাইরে থেকে আসা লোকজনের চালচলন এবং কথা বলার ধরণ সবই আলাদা। নতুন আমদানী হওয়া লোকজন এবং আদিবাসীদের মধ্যে সামাজিক বৈষম্য, দ্বন্দ, সংঘাত লেগেই থাকে। বিপরীতে তাদের মধ্যে প্রেম-ভালবাসা এমনকি আত্মীয়তার সম্পর্কও গড়ে উঠছে।
গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে নুরজাহান বেগমের একমাত্র পুত্র এবং তিন কন্যা নিয়ে সুখের সংসার। তার বড় মেয়ে কবিতার স্বামী রমজান এই বাড়িতে ঘরজামাই থাকে। সে খুবই ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তার শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি রিসোর্ট আছে। রিসোর্টের মালিক তাদের বাড়িটি কিনতে চায়। কিন্তু নুরজাহান বেগম তার স্বামীর ভিটা কোনভাবেই বিক্রি করতে রাজি নয়। এই নিয়ে মেয়ের জামাইর সঙ্গে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। কারণ এ বাড়িটি বিক্রি করলে সে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবে। স্থানীয় জমির দালাল সামসু রিসোর্টের মালিকের মেয়ের জামাই শমসেরকে সহযোগিতা করে। জমির দালালি করে সামসু অঢেল টাকার মালিক হয়েছে। তার সাথে রাজার (নুরজাহান বেগমের ছেলে) ছোট বোন কুসুমের প্রেম হয়। এই নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে লেবু চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় বুলেট ডিশ ব্যাবসা শুরু করে। ডিশ ব্যবসায়ী বুলেট এবং জমির দালাল সামসুর সাথে বিরোধ লেগেই থাকে। এদের দুজনের ঝগড়া সামাল দিতে মেম্বার রাজাকে বেশ কাঠ খড় পোড়াতে হয়। লেবু চেয়ারম্যানের মেয়ে লতার সাথে রাজার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এই সম্পর্কের কথা জেনে লেবু মিয়া রাজা মেম্বারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।
এখানেই শেষ নয়। প্রাইভেট টিউটর ফাইজুল খুবই ভালো মানুষ। সে রাজার মেজো বোন শিউলিকে খুব পছন্দ করে। কিন্তু তার অর্থকড়ি কম আছে বলে নুরজাহান বেগম এই সম্পর্ক মেনে নিতে চায় না।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ বিউটি পার্লার নিয়ে বাড়ি বাড়ি হাজির হয় মি. রোমিও। সে ছেলেদের কোন মেকাপ করে না। শুধু মেয়েদের মেকাপ দেয় বলে এলাকার ছেলেরা রোমিওর ওপর খুব ক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু মেয়েরা রোমিওর হয়ে প্রতিবাদ করে।