ফিলিস্তিনি আন্দোলন ও বিশ্ব নেতাদের তোপের মুখে জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা (বায়তুল মুকাদ্দাস) মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল। সরে এসেছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আগের কঠোর অবস্থান থেকেও।
আল-আকসায় ইসরায়েলের কঠোর নিরাপত্তা আরোপে সম্প্রতি সহিংস পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ পদক্ষেপ নেয় নেতানিয়াহু সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা।
এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
এদিকে ইসরায়েলি সরকারের এ সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টা আগে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনের উপায় খুঁজতে বৈঠক হয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে।
এসময় শুক্রবারের মধ্যে সংকট সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত নিকোলাই ম্লাদেসনভ।
তা না হলে ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি দ্বন্দ্ব জেরুজালেম ছাড়িয়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সতর্কতা দেন তিনি।
শুক্রবার পবিত্র আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর বসানো এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর বাহিনীর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে আম্মানে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ করে কয়েক হাজার মানুষ।
জুম্মার নামাজের পর সাধারণ ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। তাদের গুলিতেই তিনজন নিহত এবং ৩শ’র বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়।
দু’দিন বন্ধ থাকার পর গেলো সপ্তাহের রোববার মসজিদ খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে এ মসজিদে ঢুকতে ৫০ বছরের কম বয়সী ফিলিস্তিনিদের নিষিদ্ধ করা হয়। তা তদারকিতে হারাম আল-শরিফের বাইরে বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টর।
এতে দামেস্ক গেটের বাইরে জুম্মার নামাজ পড়তে হয় তরুণ ফিলিস্তিনিদের। নামাজ শেষে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে এ প্রকাণ্ড হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ওয়াই/সি