এক সকালে ড্রয়িংরুমে বসে চা খাচ্ছিলেন বয়স্ক দম্পত্তি মোরশেদ চৌধুরী ও শাহানা। ডোরবেল বেজে উঠল। বাড়ির কাজের মেয়েটা এসেছে ভেবে মোরশেদ চৌধুরী উঠে দরজা খোলেন। সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর আক্রমণ। কপালে হাতুড়ির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মোরশেদ চৌধুরী। শাহানা চিৎকার করে সবার সাহায্য চান। কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না। মোরশেদ চৌধুরী নিষ্প্রাণ হয়ে যান।
মোরশেদ চৌধুরীর প্রতিবেশী ফোন করে খুনের খবর জানান মেয়ে নিষ্ঠাকে। নিষ্ঠা বাবাকে দেখতে আসতে চায় না। আসে পুলিশ। শাহানা খুনির কোনো বিবরণ দিতে পারেন না। তদন্তকারী অফিসার মিজাইলি করিম তদন্তে নামেন। তার সামনে কোনো ক্লু বা মোটিভ অব মার্ডার কিচ্ছু নেই। অন্ধকারেই চলতে থাকে তদন্ত। নিষ্ঠা মা’র পাশে না দাঁড়িয়ে যায় সাইকো অ্যানালিস্ট ইকার চৌধুরীর কাছে। ইকার চৌধুরীকে স্বামীর সমস্যার কথা বলে। ইকার স্বামীকে নিয়ে আসার কথা বলেন নিষ্ঠাকে।
গোল্ডেন বার থেকে মিজাইল করিমের কাছে একটা অভিযোগ আসে। নিষ্ঠা নামে একটি মেয়ে মদ খেয়ে বারে হাঙ্গামা করেছে। তারপর গ্লাস ভেঙে নিজের হাতের রগ কেটে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। বারের লোকজন নিষ্ঠাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে। মিজাইল করিম হাসপাতালে গিয়ে অন্য কথা শুনতে পান। নিষ্ঠা তাকে বলে, রায়া নামে একটি মেয়ে তাকে খুন করে তার স্বামীকে বিয়ে করতে চায়। এই মেয়েটি দেখতে তার মতো। নাম রায়া। নিষ্ঠা বলে, তার কোনো যমজ বোন নেই। ধন্ধে পড়ে যান মিজাইল করিম। রায়া তাহলে কে? কেন সে নিষ্ঠার মতো দেখতে?
এই রহস্য জানতে হলে দেখতে হবে ওয়েব ফিল্ম ‘ছায়াবাজি’। শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৭টা আরটিভি প্লাস এবং আরটিভি মুভিজ ইউটিউব চ্যানেলে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত এই ওয়েবফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন সৈয়দ আশিক রহমান।
আহমেদ শাহাবুদ্দিনের চিত্রনাট্যে এটি পরিচালনা করেছেন সৈয়দ শাকিল। এতে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস, সাজ্জাদ হোসাইন, সাবেরী আলম, তারিক আনাম খান, আবদুল্লাহ রানা, সাদিয়া তানজিন, হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ।