‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার পাইরেসিতে জড়িত দুজন গ্রেপ্তার
গেল ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় রায়হান রাফি নির্মিত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’। মুক্তির পর শুধু দেশেই নয়, কলকাতা, আমেরিকাতেও বেশ সাড়া ফেলে সিনেমাটি। কিন্তু দর্শকদের এমন উচ্ছ্বাসের মধ্যেই পাইরেসির শিকার হয় সিনেমাটি। এদিকে সিনেমার পাইরেসি বন্ধ করতে মাঠে নেমেছে ‘সুড়ঙ্গ’ টিম। ইতোমধ্যে সিনেমাটির পাইরেসিতে জড়িত দুজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিবি পুলিশের কাছে আবেদনের পর এবার ডিজিটাল আইনে শনিবার (২৯ জুলাই) ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার করিম ভূঁইয়া এবং আলফা আই স্টুডিও লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল বাদী হয়ে অভিযোগ করেন।
তাদের অভিযোগ ছিল, ২৯ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে সুড়ঙ্গ রিলিজ হওয়ার পর তারা নেটদুনিয়ায় লক্ষ্য করেন, বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল আর গুগল ড্রাইভে সিনেমাটি বিনামূল্যে দেখা যাচ্ছে। ২৪ জুলাই বিষয়টি খেয়াল করার পরপরই ডিবি পুলিশের দ্বারস্থ হন ‘সুড়ঙ্গ’ টিম।
গ্রেপ্তার দুজনের একজন ইনামুল কবির। পেশায় তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী। অন্যজন মো. মনিরুল শেখ। পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
দুই আসামিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, ২৪ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি দেখার সময় তারা ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি মোবাইলে ভিডিও করেন। এরপর সম্পূর্ণ সিনেমাটি ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন।
এ দিকে ‘সুড়ঙ্গ’ পাইরেসি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করার পর নিজের ফেসবুকে ডিআইজি হারুন অর রশিদ এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফের স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
নায়িকা লিখেছেন, শুধু ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটিই নয়, যারা ইতোমধ্যে পাইরেসি করছেন, প্রচার করছেন, বিভিন্ন গ্রুপে লিংক শেয়ার করছেন এবং নানাভাবে পাইরেসিকে উৎসাহ দিচ্ছেন সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্প আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুই আসামির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিআইজি হারুন অর রশিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, ডিআইজি হারুন অর রশিদ এবং বাংলাদেশ পুলিশকে সুড়ঙ্গ টিমের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য হুমকি এই পাইরেসি অপরাধ প্রতিরোধ করতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হয়ে থাকব।
মন্তব্য করুন