প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে ফার্টিস এফসির কাছে হেরেছিল আবাহনী লিমিটেড। সেই ম্যাচে জয়ের নায়ক ইউক্রেনের মিডফিল্ডার ভ্যালেরি গ্রিশিন। দ্বিতীয় পর্বে এসেও একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছিল আবাহনী। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ক্রুসিয়ানির দল।
শুক্রবার (৫ মার্চ) গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে জামাল ভূঁইয়াকে ছাড়াই মাঠে নামে আবাহনী। এদিনও গ্রিশিনের গোলে এগিয়ে যায় ফর্টিস। শেষ মুহূর্তে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের লক্ষ্যভেদে ফর্টিসকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তারা। ড্র করে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা শিরোপা লড়াই থেকে আরও দূরে চলে গেছে।
ম্যাচের ২২ মিনিটে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে। দুই মিনিট পর কর্নেলিয়াসের বক্সে ঢুকে একই ভাবে নেওয়া শট আতঙ্ক ছড়ালেও গোলকিপারকে পরাস্ত করা যায়নি।
৩২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ করে ফর্টিস।তবে সতীর্থের কর্নারে গাম্বিয়ান ওমর বাদোর হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি। ৪১ মিনিটে আবাহনী আবারও গোলের সুযোগ পায়। কর্নেলিয়াস বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারের শরীরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেছেন। শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে এগিয়ে যায় ফার্টিস এফসি। ৬১ মিনিটে সতীর্থের লং পাস প্রতিপক্ষের সীমানায় আয়ত্বে নেওয়ার আগে ডিফেন্ডার রহমত মিয়া হেড করে পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে আসা গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলকে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আগুয়ান গোলকিপার তা হাত দিয়ে প্রতিহত করতে চাইলেও ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। ইউক্রেনের ভ্যালেরি গ্রিশিন বল পেয়ে বাঁ পায়ের টোকায় জড়িয়ে দেন জালে। সোহেল নিজের পজিশনে ফিরে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি।
এরপর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। জোনাথন-কর্নেলিয়াসরা বারবারই ফর্টিসের সীমানায় বল নিয়ে গেলেও জাল কাঁপাতে সময়ক্ষেপণ করছিল। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ের শেষ দিকে এসে আবাহনী হার এড়িয়েছে। কর্নারের পর জটলা থেকে কর্নেলিয়াস গোল করে দলকে এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন।
লিগে আবাহনী ১১ ম্যাচে চতুর্থ ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই আছে। সমান ম্যাচে ফর্টিস এফসি চতুর্থ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্টে পুলিশের সঙ্গে পঞ্চম স্থানে আছে।