‘বিশ্বে মেয়েদের গানের দল হিসেবে হয়তো আমরাই প্রথম’
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা লোকগানের দল ‘মাদল’। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছে বাংলাদেশে। কাজসহ নানা বিষয় নিয়ে দলটি মুখোমুখি হয়েছিল আরটিভি অনলাইনের।
‘মাদল’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান দলনেতা শিখা ভট্টাচার্য্য বলেন, ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত ‘বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩১’ দেখতে এসেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অন্যান্যবার এলে কিংবদন্তি গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর ভাইকে পাই। এবার এসে তাকে পেলাম না। তিনি আমাদের মাঝে আর নেই। তবে খুব মনে পড়ছে, তার সাথে কাটানো মুহূর্তের কথা। আমাদেরকে বোনের মতো স্নেহ করার কথা। এমন মনে হতো যে, আমরা যেন বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। আর তিনি ভাই হয়ে আমাদের দেখভাল করছেন। কী খাব, কী পরব, কী করলে আমাদের ভালো লাগবে, সবই ছিল তার মূল কাজ। এখন তার স্ত্রীও তার মতো করে আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে আসবার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তাইতো এসেছি প্রিয় বাংলাদেশে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে মেয়েদের গানের দল হিসেবে হয়তো আমরাই প্রথম। কারণ, অনেক দল হয়েছে। কিন্তু টিকে থাকেনি। আমরা সেই ২০০২ থেকে এখন অবধি আছি। কাজ করে যাচ্ছি। সবার ভালোবাসা পাচ্ছি।
লোকগান পরিবেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশে নতুন গান করার ইচ্ছাও পোষণ করলেন তিনি। বললেন, বাংলাদেশ লোকসঙ্গীতের রত্নভাণ্ডার। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে লোকগানের পাশাপাশি বাংলাদেশে কেউ যদি মনে করে, আমাদের দিয়ে, মাদলকে দিয়ে কোনো গান করাবে, তবে অবশ্যই আমরা সেই সুযোগটা নেব। এ ক্ষেত্রে আমাদের একটা চাওয়া, গানের কথা-সুর অবশ্যই পছন্দের হতে হবে।
বাংলাদেশের আতিথেয়তায় আপ্লুত মন্তব্য করে শিখা ভট্টাচার্য্য বলেন, বাংলাদেশে আসার কথা উঠলেই দিন গুনতে থাকি কবে যাব। কারণ, এখানে এলে মনে হয় বাড়িতেই আছি। দারুণ আতিথেয়তা, দারুণ! ভাষায় প্রকাশ করে যার সবটুকু বোঝানো যাবে না।
শিখা ভট্টাচার্য্য ছাড়াও দলে রয়েছেন আরও ৫ জন নারী সদস্য। যারা হলেন শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী, মালা চক্রবর্তী, টুপসী চ্যাটার্জী, পলাশপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য ও সোনিয়া ঘোষ সেন। এ ছাড়াও রয়েছেন ৬ জন যন্ত্রশিল্পী।
মন্তব্য করুন