ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান পপগুরু আজম খান। তার চলে যাওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। কিংবদন্তি এই শিল্পীর স্মরণে আয়োজিত হচ্ছে বিশেষ কনসার্ট।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ‘গুরু অব রক : আ ট্রিবিউট টু আজম খান’ শিরোনামে কারওয়ান বাজারের ঢাকা ট্রেড সেন্টার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। যেখানে গাইবেন গায়কের ভাতিজা সংগীতশিল্পী আরমান খান। পাশাপাশি থাকছে উদীয়মান বেশ কয়েকজন শিল্পীও। কনসার্টের আয়োজন করছে ‘দ্য অ্যাটেনশন নেটওয়ার্ক।’
এ প্রসঙ্গে আরমান বলেন, আজম খানের মতো কিংবদন্তিকে ট্রিবিউট করে এখন আর কোনো শো হয় না। সেই অভিমান বুকে চেপে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের এই আয়োজন। এই অনুষ্ঠানে আমার তিন কাজিন, মানে চাচার দুই মেয়ে ইমা ও অরনী এবং ছেলে হৃদয় খান উপস্থিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এতে আমি ও আমার ব্যান্ড কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। বরং অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটা অংশ আমরা চাচাতো ভাই-বোনদের হাতে তুলে দিতে চাই।
আরমান বলেন, চাচার বহু জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘আসি আসি বলে’, ‘পাপড়ি কেন বোঝে না’, ‘সালেকা মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘বাংলাদেশ’, ’অভিমানীসহ ১২ থেকে ১৫টি গান গাওয়ার পরিকল্পনা আছে।
এছাড়া আমার লেখা ও সুরেও আজম চাচা গান করেছেন। সেখান থেকেও গাওয়ার ইচ্ছা আছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে চাচাকে ট্রিবিউট করে ‘গুরুরে’ নামের একটি গান প্রকাশ করেছি। সেই গানটাও কনসার্টে গাইব।
জানা গেছে, আজম খানের বড় ভাই কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলম খান। তারই সুযোগ্য পুত্র সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী আরমান খান। মমতাজের গাওয়া ‘নান্টু ঘটক’, বিপ্লবের ‘চান্দের বাতির কসম দিয়া’, হাসানের ‘শীত নয় গ্রীষ্ম নয় এসেছে বসন্ত, ‘লাল বন্ধু নীল বন্ধু’সহ এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। পাশাপাশি নাটকের গানেও বেশ পরিচিত আরমান।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে এই কনসার্ট । টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৬০০ টাকা।