‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুর পরে তার ‘মাইলস’ ব্যান্ড ছাড়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
জানা গেছে, আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গেল কয়েক বছর ধরেই ভাঙন ধরে ‘মাইলস’ ব্যান্ডে। যে কারণে ‘তিনবার’ মাইলস ছেড়ে বের হয়ে যান শাফিন আহমেদ।
সবশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, মাইলস থেকে আলাদা হয়ে গেছি।
এ সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ব্যান্ডের সব কার্যক্রম বন্ধের দাবিও করেন এই ব্যান্ড তারকা।
ভিডিও বার্তায় শাফিন আরও বলেন, মাইলসের সঙ্গে আমার পথ চলা সেই ১৯৭৯ সালে। অনেক সময় দিয়েছি, শ্রম দিয়েছি, অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ হয়েছে। মাইলসের আজকের অবস্থানের পেছনে আমার কতটা অবদান সেটা সবাই জানেন। চলতি বছরের শুরুতে একটা সিদ্ধান্ত নিই মাইলসের বর্তমান লাইনআপের সঙ্গে আমার মিউজিকের কোনও কার্যক্রম সম্ভব হবে না। বর্তমান লাইনআপের সঙ্গে সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবো। তবে আমার সংগীতের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। কনসার্টেও থাকব, রেকর্ডিংয়েও পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা থাকবে মাইলস নামটি যেন অপব্যবহার না হয়। মাইলসের সঙ্গে যদি কাজ না করতে পারি, তাহলে এখানেই মাইলসের কার্যক্রম স্থগিত করাই বেস্ট ডিশিশন বলে আমি মনে করি। অন্য কেউ যেন মাইলস নামটি ব্যবহার না করে।
এর আগে ২০১০ সালের শুরুর দিকেও একবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শাফিন আহমেদ ব্যান্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও কয়েকমাস পর আবারও দলে ফেরেন তিনি।
এরপর ২০১৭ সালে আরও একবার ব্যান্ড ছাড়েন শাফিন। এর কয়েকমাস পর দ্বন্দ্ব ভুলে ফের আসেন প্রিয় ব্যান্ডে।
প্রসঙ্গত, ‘মাইলস’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালে। তাদের প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’ প্রকাশ পায় ১৯৯১ সালে। তার আগে ব্যান্ডটির দুটি ইংরেজি গানের অ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘এ স্টেপ ফারদার’ প্রকাশিত হয়।
মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ অন্যতম।