যে কারণে আ.লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়েন সোহেল রানা
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। অভিনেতার পাশপাশি তিনি একজন প্রযোজক ও পরিচালকও। অভিনয়ে নাম লেখানোর আগেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। পরে সিনেমায় নিয়মিত হলে রাজনীতিতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। কয়েক বছর অভিনয়ে অনিয়মিত হতেই ফের সরব হয়েছেন রাজনীতিতে। সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন নতুন রাজনৈতিক দলের।
এদিকে দীর্ঘ সময় সোহেল রানা সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে। ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে পড়ার সময় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন সোহেল রানা। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৮ সালে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। এক সময় সে দলের সংস্পর্শও ত্যাগ করেন। এবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ত্যাগের কারণ।
সোহেল রানা বলেন, ‘আদর্শগত জায়গাটাতে ছাড় দিতে রাজি হইনি কোনোদিন। আমাদের নতুন দলে কিন্তু আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরাও থাকবেন। আমার গ্রামে এখনও এমন মানুষ আছেন, যিনি এক মুজিব ও এক আওয়ামী লীগে বিশ্বাসী। তাদের বঞ্চিত হতে দেখেছি বছরের পর বছর। তাদের আদর্শের কাছে হাইব্রিড নেতারা নস্যি।’
এরপর আওয়ামী লীগ ত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল (২০০৯) সে বছরই আমি দলটি ছেড়েছিলাম। তাদের অনেক কর্মকাণ্ড পছন্দ হচ্ছিল না। আমার আদর্শের সঙ্গে যাচ্ছিল না। একই কারণে জাতীয় পার্টিও ছেড়েছি (২০২০ সালে)।’
এদিকে, সোহেল রানার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের ইতমধ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে দলটির নাম রাখা হয় ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ (বিআইপি), যাদের লোগোতে শোভা পেয়েছে শান্তির প্রতীক পায়রা। তবে অনিবার্য কারণ বশত সংশোধোন করে নতুন ঐ রাজনৈতিক দলের রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি’।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় বছর হলো অঘোষিতভাবে ঢালিউড ছেড়েছেন সোহেল রানা। বিশেষ কোনো চরিত্র ছাড়া অভিনয়ের ইচ্ছা নেই। এ নায়ক জানান, কেউ যদি জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব দেন, তবে করবেন।
আরটিভি /এএ
মন্তব্য করুন