‘আলো আসবেই’ গ্রুপে শিল্পী সমিতির সদস্যদের থাকা নিয়ে যা বললেন মিশা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই চাপের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিল্পীরা। এমনকি সামাজিকমাধ্যমেও কটাক্ষের মুখে পড়ছেন অনেকেই। আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ দুটি দল লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে বিপক্ষ দলটি ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলে। সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাসহ ১৬০ জন সদস্যকে যাদের অবস্থান ছিল ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে!
সেই গ্রুপের বিভিন্ন স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এনিয়ে চলে নানা সমালোচনা। জড়িতদের শাস্তিও দাবি করেন অনেকেই । এবার ‘আলো আসবেই’ গ্রুপ নিয়ে কথা বললেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিশা বলেন, ‘আলো আসবেই গ্রুপে শিল্পী সমিতির কয়েকজন সদস্য থাকার কথা শুনেছি। এই গ্রুপে থাকার শিল্পী সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে, আমরা কার্যকরী পরিষদে মিটিং করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা তো আদালত না। সাময়িকভাবে তার সদস্যপদ স্থগিত করার অধিকার রাখি, যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়। সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকার অভিযোগ আসে, তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা আগামী বুধবার কার্যনির্বাহী পরিষদ মিটিং করেছি। আশা করি, ওদিন শিল্পী সমিতির নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখেন, যে কারও রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে—এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি রাজনীতি কম বুঝি। শুধুমাত্র অভিনয়ই বুঝি। আমাদের গঠনতন্ত্রে একটু সমস্যা আছে, নীতিমালা ঠিক করার জন্য একটি কমিটি করেছি। যারা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবে তাদের সঙ্গে সবসময় আছি। আমাকে কেউ পছন্দ না করলেও আমি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে যারা কাজ করবে তাদের সঙ্গে আছি। কারণ আমার জন্ম চলচ্চিত্রে আর এফডিসি আমাকে আজকের মিশা সওদাগর বানিয়েছে। তাই এই শিল্পের সঙ্গে সবসময় আছি ও থাকব।’
প্রঙ্গত, মিশা সওদাগর বেশ কিছু নতুন চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। শিগগিরই যোগ দেবেন মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘বরবাদ’, তাজু কামরুলের ‘আমি যাযাবর’ ও বদিউল আলম খোকনের ‘আগুন’ সিনেমার শুটিংয়ে।
আরটিভি /এএ
মন্তব্য করুন