ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী একটা সময় নিয়মিত অভিনয় করলেও এখন অনিয়মিত। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন নাটকেও বেশ জনপ্রিয়। দর্শকরা তাকে ভালোবেসে ডাকেন ‘প্রিয়দর্শিনী’ নামে।
অন্যদিকে, ওমর সানী ১৯৯২ সালে নুর হোসেন বলাই পরিচালিত ‘এই নিয়ে সংসার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এরপর ‘চাঁদের আলো’, ‘দোলা’, ‘আখেরি হামলা’ এবং ‘মহৎ’সহ একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট তার সঙ্গে ঘর বাঁধেন মৌসুমী। এই দম্পতির ফারদিন এহসান স্বাধীন নামের এক ছেলে ও ফাইজা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
এই দুই তারকা সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছে অনেক চলচ্চিত্রে। সম্প্রতি মৌসুমীর হাতে ওমর সানীর চাবুকের মার খাওয়ার দৃশ্য ফেসবুকের রিলসে আসে। নায়িকার কাছে নায়কের চাবুকের মারের সেসব দৃশ্য নিয়ে চলে আলোচনা। ফেসবুক ব্যবহারের কারণে এসব নজরে আসে ওমর সানীরও।
আরটিভির সঙ্গে আলাপকালে ওমর সানী বলেন, মৌসুমীও তখন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। মাত্র দু-তিনটা ছবিতে কাজ করেছে। আমাদের দুজনের প্রথম ছবি। আমরা গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কের ওদিকটায় একটা ডাক বাংলোয় শুটিং করি। সেই ছবিতে সম্ভবত তিনবার চাবুকের মার খাওয়ার দৃশ্য ছিল। প্রথম দিনের শুটিংয়ের চাবুকের মার খেয়েই আমার জ্বর আসে। মৌসুমী নতুন, আমি কয়েক বছর হয় কাজ করছি। নিজেদের প্রমাণ করার ব্যাপারও আছে। চাবুকের মার খাওয়ার দৃশ্যটা একাধিকবারে ওকে হয়। এদিকে দৃশ্যটা বাস্তবসম্মত করতে গিয়ে আমরাও তখন যা করণীয়, করেছি। শুটিং চলাকালে কিছুই টের পাইনি। রাতে বাসায় ফেরার পর মা দেখলেন, আমার পিঠ লাল হয়ে আছে! এরপর তো হুলস্থুল অবস্থা।
তিনি আরও বলেন, আচ্ছা মোসুমীকে কেনো দোষারোপ করা হচ্ছে? যা কিছু করার নির্মাতা করেছে (মজা করে বললাম)। যাক ব্যাটে-বলে আমার মৌসুমীর সিকুয়েন্সগুলো হয়েছে। তবে হ্যাঁ ব্যথা পেয়েছি। এখনও সেই ব্যথার কথা মনে হলে মনে মনে আনন্দ পাই। তবে সেই চাবুকের আঘাতের ব্যথার আনন্দই আমাদের ভালোবাসতে ও বিয়ে করতে সাহায্য করেছে।
৩২ বছর আগে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করা ওমর সানী এখন আর অভিনয়ে নিয়মিত নন। নিজের রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পাশাপাশি সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট এবং প্রযুক্তিপণ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন। সপ্তাহে পাঁচ দিন নতুন প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছেন এবং বেশ উপভোগ করছেন।
আরটিভি/এএ-টি
