স্বরশ্রুতির অনন্য আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের পঞ্চমদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হলো ‘স্বরশ্রুতি’র আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’।
প্রযোজনার মূল ভাষ্য- ‘যে ঘটনা পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে থামিয়ে দেওয়া যেত গুজরাটে, যে ঘটনা একদিনে চুপ করিয়ে দেওয়া যেত বামিয়ানে, কান্দাহারে, যে ঘটনা দু’দিনে থামিয়ে দেওয়া যেত প্যালেস্টাইনে আমরা তা না করে যে যার নিজের ক্রুশকাঠ বহন করে চলেছি।... ভাই খুঁজে বেড়াচ্ছে ভাইকে। মা বসে আছে ভাত নিয়ে। ছেলে এই আসছি বলে বেরিয়েছিল। বাবা নদী ধরে হাঁটতে হাঁটতে গোধূলিতে শুনতে পেলেন পাখির ডাক। পাখির ডাক নাকি তাঁর পুড়ে যাওয়া বালকপুত্রের কণ্ঠ? ওই ভাইকে সম্মান জানাতে এই জমায়েত। ওই মা-কে সম্মান জানাতে এই সন্ধ্যা। ওই বাবাকে সম্মান জানাতে এই আয়োজন ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’।
আবৃত্তি প্রযোজনাটির গ্রন্থনা, নির্দেশনা, কোরিওগ্রাফি, পোশাক ও মঞ্চ পরিকল্পনা এবং সংগীতভাবনায় ছিলেন মীর মাসরুর জামান রনি। সহযোগী নির্দেশনায় শাহ্ আলী জয়। প্রযোজনা ব্যবস্থাপনায় মনিরুল ইসলাম প্রিন্স ও শামীম শেখ। পোশাক ব্যবস্থাপনায় ভারতী হালদার। সংগীতে আসাদুজ্জামান কিরণ।
পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন- মো. আহ্কাম উল্লাহ্, মীর মাসরুর জামান রনি, আশরাফুল আলম রাসেল, সেগুফতা ফারাৎ সেঁজুতি, শাহ্ আলী জয়, জোবায়ের মিলন, জিনিয়া ফেরদৌস, রিয়াজ সেজান, বাপ্পী আখন্দসহ স্বরশ্রুতির মোট আটত্রিশজন সদস্য।
‘মানুষেরা মানুষের পাশে’র প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার, শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে। দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হয় ২০০৮ সালে পরীক্ষণ থিয়েটার হল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। এটি তাদের তৃতীয় মঞ্চায়ন।
পি
মন্তব্য করুন