শীতকালীন শিডিউল পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য এয়ারলাইনসের যাত্রীরা ফ্লাইট মিস করছেন! তবে এ নিয়ে আর চিন্তা নয়। ঠিক সময়ে যাত্রাসহ ফ্লাইট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাবলী জানাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেট অল এয়ারপোর্ট অব বাংলাদেশ ফেসবুক পেজ।
সম্প্রতি পেজটিতে জানানো হয়, বছরে দু'বার এয়ারলাইনসের শিডিউল পরিবর্তন হয়। গ্রীষ্মকালীন শিডিউল এবং শীতকালীন শিডিউল। যারা গ্রীষ্মকালে রিটার্ন টিকেট নিয়ে দেশে এসেছেন, তাদের রিটার্ন টিকেটে গ্রীষ্মকালীন শিডিউল অনুযায়ীই ফ্লাইটের দিনক্ষণ লেখা থাকে। সেই সময় অনুযায়ী শীতকালে এয়ারপোর্টে এসে দেখলেন ফ্লাইট শীতকালীন শিডিউল অনুযায়ী চলে গেছে বা একদিন পরে যাবে। শুরু হয় ভোগান্তি!
শীতকালে সাধারণত রাতের বেলায় কুয়াশার কারণে ফ্লাইট উঠতে-নামতে সমস্যা হয়। তাই শিডিউল পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিশ্বজুড়ে এয়ারলাইনসগুলোকে একসঙ্গে বসে পারস্পারিক সুবিধা অনুযায়ী শীতকালের ইমিডিয়েট আগে এ পরিবর্তন করতে হয়। পরিবর্তিত শিডিউল এয়ারলাইনসের শর্ত মোতাবেক টিকেট বুকিংকালীন দেয়া মোবাইল নম্বর কিংবা ই-মেইলে মেসেজের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই যাত্রীদের জানিয়ে দেয়া হয়।
এতে আরো জানানো হয়, অনেক প্রবাসী বিদেশ থেকে আসার সময় বিভিন্ন এজেন্সির কাছে টিকেট কিনে থাকেন কিংবা কোম্পানি টিকেট কিনে দেন। টিকেট কেনার সময় যে ইমারজেন্সি মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকেন, প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায়... হয় তারা বিদেশের নম্বর দিয়ে এসেছেন, না হয় এজেন্সি বা কোম্পানি তাদের নিজস্ব নম্বর দিয়ে রেখেছে। এতে দেশে এসে শিডিউল পরিবর্তনের মেসেজ পান না। ফ্লাইট মিস করেন।
করণীয়:
১) টিকেট কেনার সময় অবশ্যই দেশের নিকট আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
২) প্রয়োজনে রিটার্ন টিকেটের নির্ধারিত সময়ের আগে নিকটস্থ ট্রাভেল এজেন্সি বা সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের রিজার্ভেশন অফিস কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিবর্তিত সময়সূচী জেনে নিশ্চিত হতে হবে।
ওয়াই/ডিএইচ
