জাফর ইকবালকে হারানোর দিন
ঢাকার চলচ্চিত্রের এভারগ্রীন নায়ক প্রয়াত জাফর ইকবালকে হারানোর দিন আজ ৮ জানুয়ারি। এই নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করছেন অসংখ্য ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
১৯৯২ সালে জাফর ইকবাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। জাফর ইকবালের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকায়। নায়ক হওয়ার আগে একজন গায়ক ছিলেন তিনি। খান আতাউর রহমানের রাজা সন্ন্যাসী ছবিতে ছোট রাজকুমারের ভূমিকায় অভিনয়ের স্ক্রিন টেস্ট দিতে এসে পালিয়ে যান।
১৯৭০ সালে বশির হোসেন পরিচালিত ‘আপন পর’ ছবিতে চিত্রনায়িকা কবরীর সঙ্গে প্রথম অভিনয় করেন। ছবিটি ও ছবির গান সুপারহিট ব্যবসা সফল হয়। সত্তর ও আশির দশকে পোশাকে-আশাকে, চলনে-বলনে তিনি ছিলেন মডার্ন নায়ক।
১৯৭১ সালে ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনার কাছে ধরা পড়লে বড় বোন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লার সহায়তায় তিনি ছাড়া পান। তার বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন একজন খ্যাতনামা সুরকার। জাফর ইকবাল ফকির মজনুশাহ, বদনাম সহ কয়েকটি ছবিতে প্লেব্যাক করেন। কবরী, শাবানা, ববিতা, রোজিনা, অঞ্জনা, দিতি, চম্পা, সুচরিতা, কাজরী, আল্পনা গোস্বামী রাণী, ঝুমুর গাঙ্গুলি, অঞ্জু ঘোষসহ আশির দশক পর্যন্ত সকল নায়িকার সাথে জাফর ইকবাল প্রায় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য ছবি একই অঙ্গে এত রূপ, অন্তরালে, হারজিত, সূর্যগ্রহণ, সূর্ষসংগ্রাম, ফকির মজনুশাহ, নয়নের আলো, আশীর্বাদ, গৃহলক্ষ্মী, দুই নয়ন, প্রেমিক, উসিলা, প্রতিরোধ, ফুলের মালা, সন্ধি, অবুঝ হৃদয়, বন্ধু আমার, কবুল, এক মুঠো ভাত, মাস্তান, শঙ্খনীল কারাগার, সাজানো বাগান, ছুটির ফাঁদে, লক্ষ্মীর সংসার ইত্যাদি।
(লিখেছেন- সৌমিক হাসান। লেখক: শিক্ষক ও চলচ্চিত্র গবেষক)
এম
মন্তব্য করুন