মঞ্চে এন্ড্রু কিশোর আবেগে ভাসিয়েছেন
বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে তার।
রোববার সন্ধ্যায় এন্ড্রু কিশোরের সম্মানে এক কনসার্টের আয়োজন করা হয় সিঙ্গাপুরের জালান বুকিত মেরাহর গেটওয়ে থিয়েটারে। এদিন গান গেয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন, মিতালী মুখার্জি ও এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য মোমিন বিশ্বাস।
সেখানে চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। অসুস্থ শরীর নিয়েও গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের অন্যরকম আবেগে ভাসিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে কন্ঠ মেলাতে গিয়ে কেঁদেছেন অনেক ভক্তও।
কনসার্টের শিরোনাম ছিল ‘এন্ড্রু কিশোরের জন্য ভালোবাসা’। চিকিৎসার শুরুতে জানানো হয়েছিল, এন্ড্রু কিশোরকে ৬টি সাইকেলে ২৪টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। ইতোমধ্যে ১৮টি কেমো সম্পন্ন হয়েছে।
এম
মন্তব্য করুন
অবশেষে মুখ খুললেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন তুষ্টি
আওয়ামী লীগপন্থী শিল্পীদের এ হোয়াটসঅ্যাপ ‘আলো আসবেই’ গ্রুপটি নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। কারণ সেখান থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষার্থীদের গায়ে গরম পানি দেওয়ার পরামর্শ এসেছিল। গ্রুপটির চার অ্যাডমিনের একজন হলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। গ্রুপটি নিয়ে তুমুল সামালোচনার মাঝে নিজের অবস্থান জানালেন তিনি।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শামীমা তুষ্টি লিখেছেন, ‘আমি এই মুহূর্তে যা লিখতে যাচ্ছি, আমি জানি, তার জন্য আমি গালি ও ট্রলের সম্মুখীন হতে পারি। তবুও আমি আমার পজিশন ক্লিয়ার করতে চাই। আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই যে, আমি একটা রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। এর কারণ আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বাবা মালিবাগ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, তাই আমার বাড়িতে সবসময় এই পরিবেশই ছিল যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আমি আমার নিজের পক্ষ ভেবেছি। আমার এই পক্ষপাতিত্ব যে ভুল তাও আমি মনে করি না। আমি মনে করি, আমি আমার অংশগ্রহণ ঠিক বিবেচনা করেই করেছি। কিন্তু এই দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমার নিজের কিছু বিচার-বিবেচনা আছে। আপনারা সকলেই জানেন কেউ কোনো দলের কর্মী হিসেবে কাজ করে, তখন তার সেই দলের নেতাদের কথামতো কাজ করতে হয়। সেসব দলীয় নির্দেশনার বিপক্ষে গিয়ে কাজ করার পরিস্থিতি থাকে না। এবং আমি তা করতেও চাই না দলের কর্মী হিসেবে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাই বলে এই হত্যাকাণ্ড, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতার আমি সমর্থক নই। এক মিনিটের জন্যও ছিলাম না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে বহু কর্মীই তা ছিলেন না। আমাদের অনেকেরই পজিশন নেওয়া দরকার ছিল। অনেক আগেই দরকার ছিল। আমি জানি, আপনাদের অনেকে এই কথাতেও ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু আশা করি, এটা মানবেন যে, আমরা বাংলাদেশে কী ঘটছে তাও জানতে দেরি করেছি। দলীয় রাজনীতির মধ্যেও খবর ফিল্টার হয়। যার সন্তান গেছে তার অবস্থা ভেবেছি। প্রতি মুহূর্তে আমি, আমাদের কেউ কেউ, একটা পজিশন নিতে গেছি। সেসব পজিশন কারও না কারও কারণে অন্য আরেকটা পজিশন হয়ে গেছে। আমরা বিটিভিতে গেছি, শিল্পীরা সহিংসতা ও ছাত্রদের হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, করেছেনও, তবে সেটা সংবাদে তেমন করে আসেনি। কিন্তু যা এসেছে তাতে আরও ভুল বোঝার জায়গা তৈরি হয়েছে। তবে যা দেখা গেছে সেটাও ঠিক না তা আমি বলব না। আমরা হাসপাতালেও আহতদের দেখতে গেছি। আর তখনও আমি সকল কিছু বুঝে উঠতে পেরেছি তেমন না।’
পক্ষ বদলের চেষ্টা করছেন না জানিয়ে তুষ্টি বলেন, ‘আমরা যে যাই ভাবি না কেন, দল মূলত কী কী করতে যাচ্ছে বা কী করবে, তা সম্পূর্ণ জানার উপায় আমাদের ছিল না। আমি এসব কথা বলে পক্ষ বদলের চেষ্টা করছি না। বরং আমার দলের পক্ষে যেসব মারাত্মক ভুল ছিল আমার যেসব বোঝাবুঝি ছিল সেগুলোর কারণে আমার দোনোমনা আর পরিস্থিতির কথা আপনাদের জানাতে এসেছি। আমি একটা সংগঠন করি, যেখানে সিংহভাগই এই হিংস্রতা, এই হত্যার সমর্থক নয়। কিন্তু আমাদের কোনো একটা পজিশন কীভাবে নিতে পারি তা ভাবতে ভাবতেই প্রতিদিন আরও নতুন মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন আরও বেশি করে আপনাদের থেকে দূরে সরে গেছি।’
শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলাম। সেখানেও আমি বলেছি যে, সকলের সঙ্গে গিয়ে আলাপ করতে হবে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। কিন্তু ঘটনা এত দ্রুত ঘটছিল আমি যা সমর্থন করি না তা আপনাদের জানানোর সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমার অনেক সহকর্মীরাও এসবের ভিতরে ছিলেন, পরে হয়তো থাকেননি। তারাও আমাকে অনেক গালাগাল করেছেন। তবু আমি বলতে চাই যে, আমি আমার সহকর্মীদের জন্য অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাই করব। এছাড়াও আমরা আমাদের সিনিয়র সহকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পরিনি এক সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য। সেসবও আমাকে ভাবিয়েছে।’
দলীয় সকল কর্মকাণ্ড অভিনেত্রী সমর্থন করেন না দাবি করে লিখেছেন, ‘এখনও আপনাদের সামনে এসে কথা বলতে দেরি করেছি। যে ঘৃণার সম্মুখীন আমরা, যে গালাগালি আমি খেতে পারি সেসবের ভয়েই আরও আরও দেরি করে ফেলেছি। কিন্তু আমি নিজেকে বুঝিয়েছি, এসব সমালোচনা আর গালি আর ট্রল আমার গ্রহণ করতে হবে। আর সেসবের মধ্য দিয়েই শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। আপনারা দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি দল বদলের ইচ্ছা থেকে আসিনি। আমি যে দলে ছিলাম সেই দলের নেতৃবৃন্দের সকল কার্যক্রম যে আমি সমর্থন করি না সেটা জানাতে এসেছি। আমি জানাতে এসেছি, আমি দল করলেও নিজের বিচারবুদ্ধি বিবেক-বিবেচনা বিক্রি দিয়ে আমি দল করি না।’
ট্রল ও গালির ভয়ে এতদিন মুখ খুলেননি বলেও জানান অভিনেত্রী। শামীমা তুষ্টি লিখেছেন, ‘আমি অনেক দেরিতে আপনাদের সামনে এসেছি। কিন্তু আমার অনুভূতি নতুন নয়। শুরু থেকেই হচ্ছিল। আমি সত্যি সত্যি ট্রল-গালির ভয়েই আমি আগে লিখিনি। অনেক ট্রল আর গালি নেওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলাম না। এখন কিছুটা কিছুটা নিজেকে সংযত করতে পেরেছি। সহ্য করার মত ধৈর্য আশা করি আমার হবে, আপনাদের সকল কথা নেওয়ার।’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সে রকম জায়গা থেকেই আমার অবস্থান আমি আপনাদের কাছে পরিষ্কার করলাম। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করছি। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বাংলাদেশে বিফলে না যায়, সেই প্রত্যাশা করছি।’
নায়িকা জাহারা মিতুকে নিয়ে দুই ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব!
রুপালি পর্দার এই প্রজন্মের নায়িকা জাহারা মিতু। একাধারে তিনি মডেল, উপস্থাপক ও অভিনেত্রী। এর পাশাপাশি গেল বছর বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করেছেন লেখক হিসেবে।
এদিকে সম্প্রতি দেশের একটি পত্রিকার ডিজিটাল মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে আসতেন চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু। তবে এ কথা অস্বীকার করেছেন এই উঠতি অভিনয়শিল্পী। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন যে তাকে নিয়ে যে ভিডিও সংবাদ হয়েছে, তা মূলত ভিউ বাণিজ্যের জন্য।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে সেই গুঞ্জনের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই নায়িকাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। গুঞ্জন উঠেছে জাহারা মিতুকে নিয়ে মনোমালিন্য চলছে দেশের জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের মধ্যে। কারণ হিসেবে চাউর হয়েছে দুজনের সঙ্গেই নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন মিতু।
এদিকে বিষয়টিকে গুজব বলে মিতু বলেন, ‘ছি ছি! আপনি দুজন ক্রিকেটারের নাম বলছেন! একজনই পাই না, আবার দুজনের সঙ্গে!’
তাকে নিয়ে শান্ত ও হৃদয়ের মধ্যে মনোমালিন্য চলছে শুনে নায়িকা বলেন, ‘এসব ভুয়া কথা। ছিঃ বলা ছাড়া আর কোনো মন্তব্য নেই। আমি আপনার কাছ থেকেই শুনলাম।’
নায়িকা আরও বলেন, ‘শান্ত একজন বিবাহিত ছেলে। এই গুঞ্জনের এক কানিও সত্য নয়। এগুলো ভুয়া খবর। শান্ত ও হৃদয়ের মধ্যকার মারামারির কথা শুনে আমি তো সারপ্রাইজড!
মিতুকে সবশেষ দেখা গেছে শত্রু সিনেমায়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন বাপ্পি চৌধুরী। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার আগুন সিনেমাটি। এটি নির্মাণ করছেন বদিউল আলম খোকন। মিতুর বিপরীতে আছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান।
প্রসঙ্গত, জাহারা মিতু দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন উপস্থাপনা থেকে। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও মূলত শাকিব খানের সঙ্গে আগুন ও কলকাতার দেবের সঙ্গে কমান্ডোতে স্ক্রিন শেয়ার করে আলোচনায় আসেন। তবে এই নায়িকার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য দুটি ছবি মুক্তি পায়নি। দেবের কমান্ডো কোনোভাবেই আর মুক্তি পাবে না, কারণ এর প্রযোজক সেলিম খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
মনে করেছিলাম ২০২৪ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু হয়নি: হিরো আলম
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর পর মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিরো আলম বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করতে গিয়েছিলেন। তিন দফায় জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সময় তাকে মারধর এবং ২০২৩ সালে বগুড়া-৪ আসনে তাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো অভিযোগ এনে মামলা করেন হিরো আলম।
হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোন বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।’
এর আগে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনোদিন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খারাপ কিছু বলিনি। কেউ ফুটেজ দেখাতে পারলে গলায় জুতার মালা পরে শহর ঘুরব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, ২০২৪ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়েছি, এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করব; কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়নি। বিএনপির লোকজন আজকে যে হামলা করলো তাতে কি মনে করেন দেশ স্বাধীন হয়েছে?’
হামলাকারীদের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপির লোকজনকে বলি আমাকে মেরে ফেলবেন মারেন, কোনও অসুবিধা নেই। আমি হিরো আলম মৃত্যুকে ভয় পাই না; পারলে মেরে ফেলেন। একজন হিরো আলম মরলে শত হিরো আলমের জন্ম হবে। বিনা অপরাধে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সবার চেহারা দেখেছি; সবার বিরুদ্ধে মামলা করবো। বিএনপির লোকজন ক্ষমতায় না আসতেই তাদের পাওয়ার বেড়ে গেছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে জীবনে একটা মামলা করেছিলেন। আর ডিবি হারুন তাকে ও তার পরিবারকে ট্র্যাপে ফেলে সেই মামলা করতে বাধ্য করেছিলেন। যা আমি আগেই বলেছি। বিএনপির লোকজন কীভাবে আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করলো সেটি আপনারা ভিডিওতে দেখবেন। বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই আমাদের ওপর পাওয়ার দেখালো, তারা ক্ষমতায় এলে দিনের বেলায় মানুষকে জবাই করবে। বিএনপির লোকজন এখনই ভাববেন না আপনারা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। মারধরের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবে। যারা মারধর করেছেন, তাদের একজনও বাঁচতে পারবে না। আমি হিরো আলম মারা যাবো কিন্তু মাথানত করবো না।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন, বিএনপির লোকজন আজকে আমার ওপর হামলা করেছে। একটা স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি; আরেকটা স্বৈরাচার আসছে। এটি তার প্রমাণ।
স্বৈরশাসক বলা হলেও সত্যিকার অর্থে তিনি ভালো মানুষ: সোহেল রানা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এক স্বৈরশাসককে দেশ ছাড়া করতে ৬ শতাধিক মানুষের আত্মত্যাগের ঘটনা ইতিহাসে বিরল। তবে দেশের ইতিহাসে স্বৈরাচার বলতে শুধু হাসিনাই নয়, অনেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদকেও স্বৈরাচার মনে করতেন।
হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদের সঙ্গে বেশ লম্বা সময়ের ওঠাবসা ছিল দেশের প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা সোহেল রানার। সে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন সোহেল রানা।
দেশের খ্যাতিমান এই পরিচালক জানালেন, এরশাদকে স্বৈরশাসকের সঙ্গে তুলনা করা হতো। সে প্রসঙ্গে সোহেল রানার বক্তব্য, যাদের রক্তের মধ্যেই আছে আমরা অন্যায় করব। সেই ধরনের কিছু অন্যায় আছে যা এরশাদ করেননি তা নয়। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আমি দশ বছর তার সঙ্গে ছিলাম। আমি দশ বছর যা দেখেছি, তাতেই আমি বলতে পারি, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানুষ।
সোহেল রানা বলেন, তাকে (এরশাদ) নয় বছরের স্বৈরশাসক হিসেবে অনেকে বলে। আমি বলি, যদি ওনাকে স্বৈরশাসক বলা হয়, তাহলে গত ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকা কথিত সরকারদের স্কুলে এরশাদকে ভর্তি করতে হবে; সেটাই শিখতে যে স্বৈরতন্ত্র কী, স্বৈরশাসন কাকে বলে, সেটা কীভাবে করা উচিত এবং স্বৈরশাসনের অবস্থানটা কী।
সোহেল রানার আসল নাম মাসুদ পারভেজ। তিনি চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোহেল রানা নাম ধারণ করে। বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ ছবির প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ছবিটির পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। ১৯৭৩ সালে সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানার একটি গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একই ছবির মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন।
আরটিভি/এএ/এসএ
আত্মার মাগফিরাত কামনা করলেন আরশ, তানিয়া বৃষ্টি বললেন ‘ইন্নালিল্লাহি...’
ছোট পর্দার বর্তমান সময়ের দুই আলোচিত তারকা আরশ খান ও তানিয়া বৃষ্টি। একসঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকেই কাজ করেছেন। এই জুটির পর্দার প্রেম একসময় রূপ নেয় বাস্তবে। একের পর এক জুটি হয়ে কাজ করায় তারা বেশ কয়েকবার প্রেমের খবরে আলোচনায় আসেন। ২০২২ সাল থেকে চর্চায় এই জুটি। সে সময় জানা যায় তারা একসঙ্গে থাকছেন রাজধানীর মহানগর প্রজেক্টে।
এদিকে অনেকদিন হলো আরশ খান ও তানিয়া বৃষ্টিকে আগের মতো জুটি বেঁধে কাজ করতে দেখা যায় না। পাশাপাশি তেমন আগের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুনসুটির ছবিও দেখা যাচ্ছে না। দুজনের মধ্যকার মধুর সম্পর্ক আজকাল রূপ নিয়েছে শত্রুতায়। একে অন্যের দিকে ছুড়ছেন কথার তির।
দিন কয়েক আগে তানিয়া বৃষ্টি আরশকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একসঙ্গে অনেক নাটকে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এ কারণে আমাদের সম্পর্ক খুবই ক্লোজ ছিল। আসলে ভাই-ব্রাদার টাইপের ফ্রেন্ড ছিলাম। এ ছাড়া দুজনের বাসাও কাছাকাছি ছিল। ওই সময় আমাদের অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো একসঙ্গে কাজ করছি না। সেই ফ্রেন্ডশিপ আর নেই।
এরপরই আরশ বলেন, তানিয়া বৃষ্টি আমার কলিগ। কিছুদিন আগে দেখলাম আমাকে ভাই-ব্রাদার টাইপ বলেছে, আমি বলব বোনের মতো। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তার জবাবে ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন তানিয়া বৃষ্টি। পোস্টে তিনি লেখেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কারও নাম উল্লেখ না করলেও বোঝা যাচ্ছে আরশকে লক্ষ্য করেই তির ছুড়েছেন।
আরটিভি/এএ/এসএ
প্রকাশ্যে এলো অভিনেত্রী হিমুর মৃত্যুর কারণ
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। এতে আসামি করা হয়েছে হিমুর ‘বয়ফ্রেন্ড’ জিয়াউদ্দিন রুফিকে।
চার্জশিটে বলা হয়, ছোটপর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু থাকতেন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে। দুই দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছিল নানান চড়াই-উৎরাই। বিয়ে করলেও সংসার ঠিকঠাক করা হয়ে ওঠেনি। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। হিমুর ঘনিষ্ঠজন, কথিত প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড ছিলেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। আত্মহত্যার ছয় মাস আগে থেকে হিমুর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। এমনকি ওই বাসায় মাঝে মধ্যে রাত্রিযাপনও করতেন তিনি।
সম্পর্কের একপর্যায়ে হিমু তার বয়ফ্রেন্ড রুফির মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। রুফি ভিকটিম হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। পরে রাগে ও অভিমানে গত বছরের ২ নভেম্বর হিমু বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিম হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার বয়ফ্রেন্ড জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি। তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডিবিধির ৩০৬ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের মেয়ে হোমায়রা হিমু মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’-তে প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি।
ছোট পর্দার পাশাপাশি হিমু নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে এই ভুবনে তার অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রে ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান তিনি।
আরটিভি/আইএম-টি
৭১ এর পর আল্লাহ আপনাদের উঠায় নিলেই ভালো হতো: খায়রুল বাসার
পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে পালন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফুঁসে উঠেছে আম জনতা, সামাজিক মাধ্যমে ছুঁড়ছেন নানান প্রশ্ন।
আলী জিন্নাহর এই জন্মদিন পালন করা নিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করেছেন অভিনেতা খায়রুল বাসার। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘ঘেন্না আপনাদের জন্য মুরুব্বিরা। ছি! ৭১ এর পর আল্লাহ আপনাদের উঠায় নিলেই ভালো হতো। এই দিন আমাদের দেখতে হতো না। আপনাদেরও বিরহ নিয়ে বাঁচতে হতো না।’
এরপর মন্তব্যের ঘরে এক মন্তব্যে তিনি লিখেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ উন্মাদেরা! একজনের বক্তব্য নিউজ পোর্টাল মারফত টাইমলাইনে আসলো, শুনতে গিয়ে ঘেন্নায় স্কিপ করলাম। পূর্ব বাংলা বলে চালিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ নামটা মুখে নিতেও তার কষ্ট হচ্ছে। বিস্ময়! এই বুড়াদের সাথে কিছু তরুণরাও আছে! জিন্নাহ তাদের পাকিস্তান দিয়েছে এই গর্বে মরে যাচ্ছে! এদের জায়গা দিবে পাকিস্তান? আল্লাহ তাদের পাকিস্তান চলে যাওয়ার পথ করে দিক এই দোয়া করি।’
প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন একজন গুজরাটি বংশোদ্ভুত আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯১৩ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা পর্যন্ত জিন্নাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন এবং আমৃত্যু এই পদে বহাল থাকেন।
আরটিভি / এএ