যে কারণে মন খারাপ প্রিয়াঙ্কার
প্রতি বছরের মতো এবারও অস্কারের মঞ্চে উঠবেন আশা ছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। কিন্তু ৯২তম আসরে যোগ দিতে পারেননি তিনি।
ফলে মন খারাপ নায়িকার। অস্কারের মঞ্চের পুরোনো স্মৃতি মনে করে নস্টালজিয়ায় ভুগেছেন তিনি। ২০১৬-১৭-তে অস্কারের আয়োজনে হাজির হয়েছিলেন নায়িকা। সেদিনের স্মৃতিতে হারিয়ে গেছেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া টুইটারে লিখেছেন, ‘এবার আর অস্কারে যাওয়া হলো না। তবে আমার নজর অস্কারে রয়েছে৷ আপনারা কাকে নিয়ে মেতেছেন এবার। আমি ঘরে টেলিভিশনের সামনে বসে অস্কারের আয়োজনের সঙ্গে থেকেছি। আবারও হয়তো দেখা হবে সেই মঞ্চে।’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অস্কারের পুরোনো বেশকিছু ছবিও টুইট করেছেন। রেড কার্পেট লুকসের ছবি দিয়ে ভক্তদের কাছে জানতে চেয়েছেন তার কোন অস্কার লুকটা পছন্দের।
এম
মন্তব্য করুন
বিমান ছিনতাইয়ে গিয়ে স্বামী নিহত, মুখ খুললেন সিমলা
২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ উড্ডয়নের পর ছিনতাই করতে গিয়ে নিহত হন চিত্রনায়িকা সিমলার স্বামী পলাশ আহমেদ। বোমাসদৃশ বস্তু ও অস্ত্র দেখিয়ে বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় সে সময় গণমাধ্যমকে কমান্ডো অভিযানে থাকা বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ছিনতাইয়ের সময় সিমলার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন পলাশ। পরে আট মিনিটের কমান্ডো অভিযানে নিহত হন চিত্রনায়িকার স্বামী। এ দিন বিমান থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও কিছু বিস্ফোরকসদৃশ বস্তু আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা নিয়ে আবারও কথা বলেছেন সিমলা। অভিনেত্রী বলেন, পৃথিবীতে ভালোবাসার জন্য এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না বলতে পারি না। তবে আমি বিষয়টি নিয়ে গর্ব করছি না। কারণ, এটি আমার জন্য কষ্টের।
সিমলা আরও বলেন, আমি চাই না কখনও আমার জন্য কেউ এসব করুক। বেঁচে থাকতে আর কখনোও এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে চাই না। আমাকে ভালোবাসলে একটা ফুলই যথেষ্ট।
পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ পলাশকে বিয়ে করেন সিমলা। কিন্তু পলাশ তার আগের বিয়ের খবর অভিনেত্রীর কাছে গোপন রেখেছিলেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে একই বছরের ৬ নভেম্বর তাকে ডিভোর্স দেন সিমলা। ডিভোর্সের পর মূলত ‘হতাশা’ থেকে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন পলাশ।
এ ঘটনায় সিমলাকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, বিয়ের পর মনে হয়েছিল মানসিক সমস্যা আছে পলাশের। তাই ডিভোর্স দিই। তবে কী কারণে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন, তা বলতে পারছি না।
সে সময়ে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছিল বিমান ছিনতাইয়ের এই ঘটনা। উড়োজাহাজ ‘ময়ূরপঙ্খী’বিমান ছিনতাইচেষ্টা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তদন্ত শেষে আদালতে জমা দেয় পুলিশ। তদন্তে ৭৯ জনের সাক্ষ্য ও বিভিন্ন আলামত পরীক্ষার পর জানা যায়, সাবেক স্ত্রী সিমলা ডিভোর্স দেওয়ার পরই হতাশা থেকে বিমান ‘ছিনতাইয়ের’নাটক করেন পলাশ।
আরটিভি/এইচএসকে-টি
পাকিস্তানে গিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যা বললেন আতিফ আসলাম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অসংখ্য দর্শক। বাংলাদেশেও নেহাত কম নয় গায়কের ভক্তের সংখ্যা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে রাত ৯টায় মঞ্চে ওঠেন আতিফ আসলাম। পরে টানা তিন ঘণ্টা ননস্টপ পারফরম্যান্সে দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলেন এই গায়ক। যদিও আয়োজকদের সঙ্গে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পারফর্ম করার চুক্তি হয়েছিল আতিফ আসলামের। কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে মঞ্চে বেশি সময় গান করেন এই গায়ক।
সেদিনের কনসার্ট শেষ হয়ে গেলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আতিফকে নিয়ে চর্চা চলছেই। জনপ্রিয় গায়কের গান আর অমায়িক ব্যবহার মুগ্ধ করেছে বাংলাদেশের শ্রোতাদের। এবার আতিফও এক পোস্টে বাংলাদেশের কথা জানালেন।
আতিফ আসলাম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিওতে উঠে এসেছে কনসার্টের এক টুকরো বাংলাদেশ। এক মিনিটের ভিডিওতে কনসার্টের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরেছেন এই গায়ক। গান, ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটানো, গানের তালে শ্রোতাদের উন্মাদনা, মঞ্চের লাল-নীল আলো এমনকি ভক্তদের সঙ্গে তোলা সেলফি কিছুই বাদ গেল না ভিডিওটিতে। ক্যাপশনে আতিফ লিখেছেন গ্যাটিটিউড বাংলাদেশ, যার অর্থ কৃতজ্ঞতা বাংলাদেশ।
নিজের দেশে ফিরে বাংলাদেশের প্রতি আতিফের এই ভালোবাসার প্রশংসা পাচ্ছে দর্শকের কাছে। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে বাংলাদেশের অনেক ভক্ত এই গায়ককে ফের ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। কেউবা তার সঙ্গে তোলা ছবি প্রকাশ করে ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন। অনেকে সেই কনসার্টের কিছু মুহূর্তের ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেইসঙ্গে পোস্টটি শেয়ার হয়েছে কয়েক হাজার।
‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে বাংলাদেশের তাহসান, কাকতাল ব্যান্ড, পাকিস্তানের গায়ক আবদুল হান্নান গান গাইলেও আতিফের কথায় আসছে বারবার। এমনকি কনসার্টে গানের পাশাপাশি ভক্ত-শ্রোতাদের আবদার মেটান আতিফ আসলাম। মঞ্চের সামনের দর্শকের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড, ছবি ও টি-শার্টে স্বাক্ষর দিয়েছেন তিনি।
আতিফ ‘তেরা হুনে লাগা’, ‘ম্যায় তেনু সামজাওয়ান কি’, ‘ও রে প্রিয়া’, ‘মেরে পিয়া ঘর আয়া’সহ তার প্রায় সব জনপ্রিয় গান দিয়ে দর্শককে মাতিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি কনসার্টের ফাঁকে এই গায়ক বলেন, বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম, এখানকার দর্শকের ভালোবাসা নেয়ার জন্য আমি অপেক্ষায় থাকি। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
কেবল গান নয়, কনসার্টের দিন ঢাকার রাস্তায় নামাজ পড়ে আলোচনায় আসেন আতিফ আসলাম। একটি ভিডিও ভাইরাল হয় আতিফের সেখানে দেখা যায় ঢাকার রাস্তায় নামাজ পড়ছেন এই জনপ্রিয় গায়ক।
এ ব্যাপারে কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন জানায়, কনসার্টের দিন দুপুরে হোটেল থেকে জুমার নামাজ পড়ার জন্য বের হয়েছিলেন আতিফ আসলাম। খিলক্ষেতের আশপাশের এলাকার কোনো একটি মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন তিনি। আর সেখান থেকেই কেউ হয়তো ভিডিওটি ধারণ করে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন ফেসবুকে।
আরটিভি/এএ/এস
সত্যতা মিলেছে টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের
চলতি বছরের মাঝামাঝি লায়লা আখতার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লার পুলিশ। এরপর সেই মামলা থেকে প্রিন্স মামুন জামিন পায় সোমবার (১ জুলাই)। ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য গেছে।
তদন্তে যা পেয়েছে পুলিশ
আসামি প্রিন্স মামুন একজন টিকটকার। বিভিন্ন ফেসবুক আইডিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি টিকটকার হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে বাদিনী লায়লা ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। মামুনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় লায়লার। এক পর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়াতে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন মামুন।
২০২২ সালের প্রথম দিকে একসঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গাঢ় করতে উভয়ে একসঙ্গে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। সম্পর্ক ঘনীভূত হওয়ায় আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করেন মামুন। তাকে বিয়ে করবেন, এমন বিশ্বাস স্থাপন করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন এবং একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। যা তদন্তে প্রাথমিকভাবে সত্য হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবেন এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মামুন তাকে জানান, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। মামুন তাকে বিয়ে করবেন বলে জানালে লায়লা তাকে নিজ বাসায় থাকার অনুমতি দেন।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওই দিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। তাকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে তাকে গালাগাল করেন।
আরটিভি/এএ/এস
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্তে যা পেয়েছে পুলিশ
চলতি বছরের মাঝামাঝি লায়লা আখতার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লার পুলিশ। এরপর সেই মামলা থেকে প্রিন্স মামুন জামিন পায় সোমবার (১ জুলাই)। ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য গেছে।
তদন্তে যা পেয়েছে পুলিশ
আসামি প্রিন্স মামুন একজন টিকটকার। বিভিন্ন ফেসবুক আইডিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি টিকটকার হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে বাদিনী লায়লা ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। মামুনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় লায়লার। এক পর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়াতে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন মামুন।
২০২২ সালের প্রথম দিকে একসঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গাঢ় করতে উভয়ে একসঙ্গে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। সম্পর্ক ঘনীভূত হওয়ায় আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করেন মামুন। তাকে বিয়ে করবেন, এমন বিশ্বাস স্থাপন করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন এবং একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। যা তদন্তে প্রাথমিকভাবে সত্য হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবেন এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মামুন তাকে জানান, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। মামুন তাকে বিয়ে করবেন বলে জানালে লায়লা তাকে নিজ বাসায় থাকার অনুমতি দেন।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওই দিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। তাকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে তাকে গালাগাল করেন।
আরটিভি /এএ
প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের চার দিনের মাথায় আবেগঘন পোস্ট সামান্থার
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির তারকা দম্পতি অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্যর সংসার ভাঙে ২০২১ সালে। ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন তারা। তবে সংসার জীবনে স্থায়ী হতে পারেননি নাগা-সামান্থা। দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে এখন দুজনের পথ দুই দিকে।
এরপর নাগা দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করলেও এখনও সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন সামান্থা। বর্তমানে কেউ নেই অভিনেত্রীর জীবনে। এ দিকে প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের চারদিন পর স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন সামান্থা। ফিরে দেখছেন সংসার জীবনের নানা টানাপোড়েন এবং উত্থান-পতনের গল্প। ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে অকপটে সে বার্তাই জানালেন অভিনেত্রী।
ক্যাপশনে সামান্থা লিখেছেন, ‘বছর শেষের পথে। আমরা ফিরে দেখি সেই উত্থান-পতনগুলো যা আমাদের যাত্রাকে সুগম করেছে। চ্যালেঞ্জ থেকে জয়, উন্নতি ও আনন্দের মুহূর্তগুলো তুমি এক উজ্জ্বল তারকার মতো শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছ। এই বছরটি আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছে। সেইসঙ্গে শিখিয়েছে শক্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন।’
এর আগে, নাগা চৈতন্যের বিয়ের দিন ইনস্টাগ্রামে একটি মেয়ে ও একটি ছেলের লড়াইয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন সামান্থা। এর সঙ্গে লেখেন, ফাইট লাইক গার্লস! যেখানে অপমানিত হবে, সেখানে চুপ না থেকে লড়াই করে যাও।
যদিও নাগা চৈতন্যের বিয়ের খবর সামনে আসার পর প্রকাশ্যে কিছু বলেননি সামাস্থা। তবে তার পোস্ট দেখে নেটিজেনদের ধারণা, প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের দিন থেকেই মানসিকভাবে ভালো নেই সামান্থা।
আরটিভি/এইচএসকে
ধর্মীয় আলোচনায় রাশমিকা মান্দানা, মুহূর্তেই ভাইরাল আমির হামজার বক্তব্য
ভারতের দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। বলা চলে ক্যারিয়ারে সোনালী সময় অতিবাহিত করছেন এই অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাক টু ব্যাক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন।
রাশমিকার সৌন্দর্যের তুলনা করছেন অনেকেই। তবে এবার এদেশের ওয়াজ মাহফিলে এই অভিনেত্রীর নাম উঠে এলো। সৃষ্টিকর্তার সৌন্দর্যের উদাহরণ দিতে গিয়ে বিশিষ্ঠ ধর্মীয় বক্তা আমির হামজা রাশমিকাকে বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী হিসেবে আখ্যা দিলেন। যদিও তিনি রেফারেন্স দিয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের।
একটি ওয়াজ মাহফিলের ভিডিওতে দেখা যায়, আমির হামজা বলছেন, এখন বিশ্বে যত সুন্দর মানুষ আছে; আপনারা ইন্টারনেট ঘাঁটবেন। ১৫৭টা রাষ্ট্রের মধ্যে চেহারার কাটিংয়ে ১ নম্বরে রয়েছেন রাশমিকা মান্দানা। নাম শুনেছেন? চেহারার কাটিংয়ে এখন ১ নম্বরে আছেন। এই মহিলার দিকে একটু আল্লাহর নাম নিয়ে তাকাবেন। দেখেন তো কী সুন্দর করে আল্লাহ তাকে বানিয়েছেন। এর চেয়ে শতগুণে সুন্দর ছিল আমাদের আদি মাতা হাওয়া (আ.)।
প্রসঙ্গত, ক্যারিয়ারে ‘চালো’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় অভিষেক হয় রাশমিকার। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করলেও ততটা সফলতা পাননি। তবে ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমার অসাধারণ সফলতার পর রাশমিকা জনপ্রিয়তা যেন আকাশ ছুঁয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে এই অভিনেত্রী তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি জয় করে ইতোমধ্যে বলিউডেও নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে এক একটি সিনেমার জন্য ১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন রাশমিকা।
আরটিভি/এএ/এস
‘পুষ্পা টু’ নিয়ে জিতের পোস্টের জবাবে যা বললেন আল্লু অর্জুন
গত ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানা অভিনীত সিনেমা ‘পুষ্পা টু’। মুক্তির পর থেকেই বক্সঅফিসে ঝড় তোলার পাশাপাশি সিনেমাপ্রেমীদের প্রশংসাও কুড়াচ্ছে এটি। এবার আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা টু’দেখে ভূয়সী প্রশংসা করলেন কলকাতার সুপারস্টার জিৎ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে সিনেমাটির প্রশংসা করে একটি পোস্ট দেন তিনি। ক্যাপশনে ‘পুষ্পা টু’ দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে অভিনেতা লিখেছেন ‘পুষ্পা টু’দেখলাম, সত্যিই অভিভূত হয়েছি আমি। আল্লু অর্জুনসহ প্রত্যেকে অসাধারণ কাজ করেছেন। আল্লু অর্জুন আবারও প্রমাণ করলেন, তিনিই দেশ সেরা। পাশাপাশি সিনেমাটির পরিচালক ও লেখক সুকুমারেরও প্রশংসা করেন অভিনেতা।
এদিকে জিতের এই পোস্ট নজর এড়ায়নি আল্লু অর্জুনেরও। ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা পোস্ট দিয়েছেন তিনি। অভিনেতা লেখেন, জিৎ গারু (‘গারু’শব্দের বাংলা অর্থ— দাদা)। প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সিনেমাটি যে আপনার ভালো লেগেছে, তা জেনে সত্যিই ভীষণ খুশি আমি। আপনার ভালোবাসায় আমি ধন্য।
‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় আল্লু অর্জুনের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা। সিনেমায় পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ফাহাদ ফাসিল। ন্যাড়া মাথার এই আইপিএস অফিসারের পারফরম্যান্সও দাগ কেটেছে দর্শকদের।
‘পুষ্পা টু’প্রথমটির চেয়ে আরও বেশি চমকপ্রদ হবে বলে আগেই আশ্বাস দিয়েছিলেন নির্মাতারা। বাজেটও আনেন পরিবর্তন। প্রথম সিনেমার তুলনায় যা দ্বিগুণ। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’র বাজেট ছিল ১৯৩ কোটি রুপি। এবার তা ৪০০-৫০০ কোটি রুপি।
মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা টু’। দুই বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং হয়েছে সিনেমাটির। এতে আল্লু অর্জুন, রাশমিকা এবং ফাহাদ ফাসিল ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন, রাও রমেশ, জগদীশ প্রতাপ বান্দারি, শ্রীতেজ, সুনীলসহ প্রমুখ।
আরটিভি/এইচএসকে