স্মরণে মান্না
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা মান্না। আজ তার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এক যুগ আগে আজকের এই দিনে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনেতাকে ভুলে যাননি ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। মনে রেখেছেন তার কর্ম দিয়ে। অভিনেতার ১২তম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির উদ্যোগে আজ বাদ আসর এফডিসিতে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
চিত্রনায়ক এসএম আসলাম তালুকদার মান্না। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। জীবদ্দশায় অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি।
মান্না অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘তওবা’। তার অভিনীত প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘পাগলি’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে কাজ করেন মান্না। ছবিটি ব্যবসা সফল হওয়াতে মান্নাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
এরপর কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ ছবির মাধ্যমে তার একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সহজ হয়ে যায়। একে একে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘অন্ধ প্রেম’, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দেশদ্রোহী’, ছবিগুলো মান্নার অবস্থান শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
১৯৯৯ সালে ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’র মতো সুপারহিট ছবিতে কাজ করেন মান্না।
প্রযোজক হিসেবেও মান্না বেশ সফল ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠান থেকে যতগুলো ছবি প্রযোজনা করেছেন প্রতিটি ছবি ব্যবসাসফল হয়েছিল। ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে লুটতরাজ, লাল বাদশা, আব্বাজান, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধূ এক স্বামী, মনের সাথে যুদ্ধ, মান্না ভাই ও পিতা-মাতার আমানত। মান্নার তার কাজের মাধ্যমে লাখো ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আরটিভি অনলাইন পরিবারের পক্ষ থেকে বিমম্র শ্রদ্ধা।
এম/পি/জিএ
মন্তব্য করুন