গেল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, সালমান শাহর আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ হলো- চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে সালমানের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা; স্ত্রী সামিরার সাথে দাম্পত্য কলহ; মাত্রাধিক আবেগপ্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টা; মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেয়া এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।
পিবিআই'র রিপোর্টে প্রকাশিত সালমান ও শাবনূরের সম্পর্ক প্রসঙ্গে সামিরা বলেন, শাবনূরকে আমি ছোটবোনের মতো দেখতাম। সে আমাদের বাসায় আসতো, শুটিং স্পটে দেখা হতো। সবসময় সালমানকে ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকতো। সে সালমানের সঙ্গে এভাবে সম্পর্কে জড়াবে এটা আমি মানতে পারিনি। এই সম্পর্ক নিয়ে আমার আর সালমানের মাঝে দূরত্ব বেড়েছিল, আবার মিটমাট হয়ে আমরা কাছাকাছি হয়েছিলাম।
সামিরা আরও বলেন, এফডিসিতে 'প্রেম পিয়াসী' ছবির ডাবিং ছিল। আমি শ্বশুরের সঙ্গে সেখানে যাই। সেখানে শাবনূরের সাথে দেখা হয়। সে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরলো পাশে বসে। আমি স্বাভাবিক ছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখলাম সে সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে। সালমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে বারবার কথা বলছিল শাবনূর। এটা আমার ভালো লাগেনি। একজন নায়ক-নায়িকা একটা ছবি করলে অনেকটা সময় কাছাকাছি থাকার সুযোগ পায়। তখন অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে।
সালমান শাহ ও শাবনুরের বিয়ে প্রসঙ্গে সামিরা বলেন, সালমান ও শাবনূরের মায়েরা তাদের বিয়ে দেয়া নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। আমি বুঝতে পেরেছিলাম। আমার সন্তান হচ্ছিল না, আমার শাশুড়ি চাইতেন ছেলে আরেকটা বিয়ে করুক। শাবনূরকে তার পছন্দ ছিল।
সালমানের মৃত্যু প্রসঙ্গে সামিরা বলেন, সালমান প্রচন্ড ইমোশনাল ছিল। ইমোশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো না। সেটা পারলে আজকের এই দিন দেখতে হতো না। সালমানের মা চাইতেন সালমান তার কথায় উঠবস করুক। মায়ের উপর রাগ করে সে দুই দুইবার সুইসাইড করার চেষ্টাও করেছিল।
জিএ/এম