দেশ-বিদেশে যাতায়াতের সময় একদল যাত্রী থাকেন যাদের লাগেজ থাকে স্বচ্ছ প্লাস্টিকে মোড়ানো। তা দেখে হয়তো কৌতূহল হয়েছে, কেন এমনটা করেন লোকে? কিন্তু কখনও খোঁজ করেছেন কি?
ব্যাগ প্লাস্টিকে মুড়ে দেওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক সংস্থা। বিশ্বের অনেক দেশেই এমন সুবিধা রয়েছে। নব্বইয়ের দশক থেকে এর প্রচলন বলে শোনা যায়। আমেরিকা এবং বিশ্বের নানা দেশে একাধিক সংস্থা ‘সিকিওর র্যাপ’ শুরু করে।
নামেই প্রকাশ, জিনিসপত্রের নিরাপত্তার খাতিরেই এমন প্লাস্টিকের বাঁধনে মুড়ে দেওয়া হয় লাগেজ। এমন কিছু পর্যটক আছেন, যারা জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার ভয় পান। নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ উদ্বেগে ভোগেন। আবার একাংশের পর্যটক মনে করেন, বিমানে মালপত্র ওঠানো, নামানো বা কনভেয়ার বেল্ট হয়ে আসার সময় ঠোকাঠুকিতে লাগেজের গায়ে যে আঁচড় পড়ে বা লাগেজ ভেঙে যায়। সেটাই এড়ানো যেতে পারে এমন পন্থায়।
এ নিয়ে নানা জনের নানা মত। অন্তর্জালে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন এবং তার উত্তর প্রদান সংক্রান্ত যে সমস্ত ফোরাম রয়েছে, তারই একটিতে এ নিয়ে পর্যটকদের নানা মত পাওয়া যায়। কেউ মনে করেন, অতি কৌতূহলী কর্মী বা পর্যটকদের নজর থেকে নিজের সামগ্রী সযত্নে রাখতেই এমন পন্থা।
বেশ কয়েকটি দেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজে জীবাণুনাশক স্প্রে করার নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ব্যাগ বা স্যুটকেশের চেন বা কোনও ফাঁক দিয়ে রাসায়নিক ঢুকে গেলে পোশাক নষ্ট হয়। সে কারণে, ‘সিকিওর র্যাপ’ করান অনেকেই।
এমনিতে স্বচ্ছ মোড়ক নিয়ে অসুবিধা নেই বেশির ভাগ দেশের বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তা আটকান না। তবে যদি স্ক্যানারে দেখা যায়, অনুমতিহীন জিনিস ব্যাগে রয়েছে তা হলে তা খুলতে হবে। নিরাপত্তাজনিত কারণেও নিরাপত্তারক্ষীরা তা খোলার নির্দেশ দিতে পারেন বা এ ক্ষেত্রে বিমানবন্দর কর্মীরাই ছুরির সাহায্যে মোড়ক কেটে দিতে পারেন। পরে তারা আর প্যাকিং করে দেবেন না। সে ক্ষেত্রে , টাকা দিয়ে ব্যাগ প্লাস্টিকের মোড়ানোর খরচটাই পানিতে যেতে পারে।
যদি মনে হয় স্যুটকেশ বা ব্যাগ থেকে জিনিস খোয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত, মজবুত ব্যাগ বা ট্রলি বেছে নেওয়া যেতে পারে। ধাক্কা লেগে যাতে স্যুটকেশ ভেঙে না যায়, সে জন্য শক্তপোক্ত, টেকসই জিনিস কিনতে পারেন। ধুলো বা রাসায়নিক স্প্রে থেকে লাগেজ বাঁচাতে পানি নিরোধী কভার বানিয়ে নেওয়া যায়। যেটি পরে ওয়াশ করে নেওয়া যাবে।
আরটিভি/এসকে