ঢাকাশনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

যে মেয়ের খতনা হয় না সে এক পুরুষে সন্তুষ্ট নয়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬ , ০৮:৫৩ পিএম


loading/img

মেয়েদের খতনা। এমটি শুনে নিশ্চয়ই অনেকে বেশ অবাক হচ্ছেন! কিন্তু অবাক হলেও এটি এখনো চালু আছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। যাকে বলা হয় ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (মেয়েদের খৎনা)। আর সংক্ষেপে বলা হয় ‘এফজিএম’। মূলত অবৈধ সম্পর্ক বন্ধ এবং কুমারীত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে মেয়েদের খতনা করার ছল।

বিজ্ঞাপন

যন্ত্রণাদায়ক এ প্রথা অনেক আফ্রিকান দেশেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু এখনো চালু আছে সিয়েরা লিওনে। শুধু তাই নয়, খতনা করা হয়েছে এমন জীবিত নারীর সংখ্যা ২০ কোটির বেশি।

সিয়েরা লিওনের মেয়েদের খতনা করিয়ে থাকেন এমন এক নারী হাজাম মেমিনাতু তুর। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, ‘সিয়েরা লিওনের অধিকাংশ মেয়েরই এফজিএম হয়েছে। কারণ যে মেয়ের খৎনা করানো হয়নি, সে এক পুরুষে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না! আর যাদের এটা করানো হয়েছে তারা যৌনজীবনে সন্তুষ্ট থাকে, একটি মাত্র পুরুষের সঙ্গেই সারাজীবন কাটায়।’
 
যদিও খতনা একটা নিন্দিত বা যন্ত্রণাদায়ক প্রথা। এতে মেয়েদের মৃত্যুও হয়ে থাকে। তবে এসব মানতে নারাজ ৫৬ বছর বয়সী মেমিনাতু। তার বক্তব্য, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এটা মেয়েদের জন্য ভালো।   

বিজ্ঞাপন

মেমিনাতু মেয়েদের খতনার পক্ষে বললেও এটা করানো হয়েছে এমন মেয়েরা এর বিপক্ষে। অনেকেই পরবর্তী জীবনে তাদের যন্ত্রণা ও কষ্টের কথা বলেছেন।

এসব অবিযোগ অস্বীকার করে ফ্রিটাউনের বস্তিতে তার ঘরে ঝোলানো নিজের মেয়ের ছবি দেখিয়ে মেমিনাতু বললেন, ‘আমার মেয়ের এ অপারেশন করানো হয়েছে। কিন্তু সে তো ভালো আছে, কলেজে পড়ছে। আমরা মেয়েদের ব্যথা দিই না, এটি একটি মহান এবং প্রাচীন ঐতিহ্য।’ প্রতি খতনা থেকে মেমিনাতুরা পান প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো (১৮০ ডলার)।
সিয়েরা লিওনের নারী হাজাম মেমিনাতু

আফ্রিকান অন্য দেশগুলোর মতো সিয়েরা লিওন সরকারও যদি এ প্রথা নিষিদ্ধ করে তাহলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘যদি এদেশের সরকার এ প্রথা নিষিদ্ধ করে, তাহলে আমরা প্রেসিডেন্টের অফিসে জোর করে ঢুকে পড়ে এর প্রতিবাদ করবো।’

বিজ্ঞাপন

পরক্ষণেই একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে আবার বললেন, ‘তারপর যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে সরকারকে আমাদের করার মতো একটা কাজ দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

মেয়েদের খতনার মাধ্যমে মূলত ক্লাইটোরিসের একটি অংশ কেটে ফেলে দেয়া হয়। ওই ক্লাইটোরিস কাটার ফলে কমে যায় তার যৌন চাহিদা। ধর্মীয় দোহাই দিয়ে এটি করা হলেও ইসলাম এ কাজকে উৎসাহিত করেনি। খতনা করার কারণে মদিনার এক নারীকে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘নিজেকে কষ্ট দিও না। কারণ খতনা পুরুষের জন্য সন্তুষ্টিদায়ক, কিন্তু নারীর জন্য বেদনাদায়ক।’

এপি/ এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |