৮৬ বছর পর আজ আবার নামাজ হবে আয়া সোফিয়ায়
তুরস্কের প্রাচীন নগরী ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরে আইনত আর কোনো বাধা নেই বলে গত ১০ জুলাই রায় দেয় দেশটির আদালত। পুনরায় মসজিদের মর্যাদা পাওয়া আয়া সোফিয়ায় আজ শুক্রবার ৮৬ বছর পর ফের নামাজ আদায় হবে।
জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে ৮৬ বছর আগের অবস্থানে ফিরে যাবে আয়া সোফিয়া।
রায়ের পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান এটিকে মসজিদ বানানোর নির্বাহী আদেশে সই করে ঘোষণা দিয়েছেন যে, এখন থেকে আয়া সোফিয়া ‘দিয়ানাত’ তথা তুর্কি ধর্মীয় বিষয়ক দফতরের সম্পদ।
এরপর সেখানে আজান দেয়া হয়। তুরস্কের ‘হাবার টিভি’সহ অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে এই দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়।
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে ষষ্ঠ শতাব্দীতে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ওই সময় এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। এরপর ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল ওসমানী খেলাফতের দখলে গেলে একে মসজিদে পরিণত করেন সুলতান মাহমুদ ফাতিহ। টানা ৪শ' ৮১ বছর সেখানে নামাজের পর কামাল আতাতুর্কের সময়, ওসমানী খেলাফতের বিলুপ্তি হলে ১৯৩৪ সালে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। এটি এখন ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান।
এদিকে নামাজের সময় মসজিদটির ভেতরে থাকা খ্রিস্টীয় চিহ্ন বিশেষ একটি লেজারের মাধ্যম ঢেকে দেওয়া হবে বলে ক্ষমতাসীন এ কে পার্টির এক মুখপাত্র ওমর সেলিক বলেন, জাদুঘরের ভেতর বহু জায়গায় ঐতিহাসিক চিহ্ন রয়েছে। সেগুলোকে আপাতত নামাজের সময় ঢেকে রাখা হবে।
তিনি জানান, নামাজের সময় ছাড়া অন্যান্য সময় দর্শনার্থীদের জন্য আয়া সোফিয়া খোলা থাকবে, ঐতিহাসিক চিহ্নগুলো উন্মুক্ত থাকবে। দর্শনার্থীরা বিনা খরচে এটি পরিদর্শন করতে পারবে।
এসএ/ এমকে
মন্তব্য করুন