বৈরুতে গুদামে সামরিক বিস্ফোরণ হয়েছে: সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা
লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিষ্ফোরণ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক একজন কর্মকর্তা রবার্ট বায়ের বলেছেন, এটা কেবল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কারণে হয়নি। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে বহু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বায়ের বলেন, মঙ্গলবারের ওই বিস্ফোরণের ভিডিওতে দেখা গেছে যে- গুদামে হয়তো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ ছিল। তবে ওই বড় বিস্ফোরণের জন্য শুধু অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটই দায়ী বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। খবর সিএনএনের।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছিল যে, বন্দরের কাছে আতশবাজির জন্য ব্যবহৃত একটি গুদামে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
পরে এক বিবৃতিতে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব জানান যে, বন্দরের একটি গুদামে সার ও বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত উচ্চমাত্রায় বিস্ফোরক দ্রব্য অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ২ হাজার ৭৫০ টন ছয় বছর ধরে অনিরাপদভাবে মজুদ ছিল। এটা নাগরিকদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলেও বিবৃতিতে মন্তব্য করেন তিনি।
বায়ের বলেন, তিনি মনে করেন সেখানে সামরিক গোলাবারুদ উপস্থিত ছিল। তিনি বলেন, আমার ধারণা সেটা একটা অস্ত্রের গুদাম হয়ে থাকতে পারে; কিন্তু সেগুলোর মালিক কে ছিল তা স্পষ্ট নয়।
সিআইএ’র সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, সেখানে স্পষ্টভাবে সামরিক বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল। এটা সার তৈরির অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো নয়। এ ব্যাপারে আমি অনেকটাই নিশ্চিত। আগুনের যে হলুদ বল দেখা গেছে এবং এটা স্পষ্টভাবে, যেমনটা আমি বলছি, একটি সামরিক বিস্ফোরণের কারণেই হয়েছে।
তিনি বলেন, বড় বিস্ফোরণের আগে ভিডিওতে যে সাদা পাউডার দেখা গেছে- তার কারণ হয়তো সেখানে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উপস্থিত ছিল এবং পুড়ছিল। তবে বড় বিস্ফোরণের আগে বহু যুদ্ধোপকরণের বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান তিনি। এটাকে শুধু অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিস্ফোরণ বলে মানতে নারাজ হলেও, এটা কোনও হামলা ছিল বলে মনে করেন না বায়ের। তার ভাষায়, এটা অনেকটা দুর্ঘটনার মতো।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাপক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লেবাননের রাজধানী বৈরুত। বন্দর নগরীর একট গুদামঘরে রাখা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত চার বাংলাদেশিসহ ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে চার হাজারের বেশি মানুষ।
এ
মন্তব্য করুন