দেহ ব্যবসায় জড়িত চার কর্মকর্তাকে কিমের নির্দেশে গুলি করে হত্যা
দেহ ব্যবসার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার সরকারি কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে শাস্তি দিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে ওই কর্মকর্তাদের। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগ ছিল। এছাড়া আরও দুই ব্যক্তিকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুরো ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার তথ্য সম্প্রচার করা মার্কিন সংস্থা রেডিও ফ্রি এশিয়া (আরএফএ)। খবর এই সময়ের।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় দেহ ব্যবসা চক্রের খবর প্রকাশ্যে আসে। দেশের রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা থেকে বহু প্রভাবশালী এতে জড়িত বলে জানা যায়। ২০-২৫ বছরের তরুণীদের চাকরি এবং ৫০০ মার্কিন ডলার উপার্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হয় বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জনপ্রিয় অভিনেতাদের নামও জড়িয়েছে। এই দেহ ব্যবসার জন্য ছোট হোটেল থেকে সরকারি খরচে নির্মিত শৌচাগারও ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
যৌনচক্র থেকে উদ্ধার করা যুবতীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। জানা গেছে, ওই তরুণীদের কাছে আগাম টাকা পৌঁছে দেয়া হতো। এরপর ব্ল্যাকমেইল বা ভয় দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হতো। এমনকি স্কুল শিক্ষার্থীদেরও দেহ ব্যবসার কাজে জোর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, খোদ কিম জং উনের পছন্দের স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও উদ্ধার করা হয়েছে।
আরএফএ জানাচ্ছে, পুরো ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ কোরিয়ার কিম দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। উত্তর কোরিয়ার আইনে এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ বছরের কারাবাস ও শ্রমের সাজা হয়ে থাকে। তবে অভিযুক্তদের সোজা গুলি করার নির্দেশ দেন কিম। পিয়ংইয়ং পৌরসভার এক কর্মকর্তার কথায়, প্রকাশ্যেই গুলি করা হয় তাদের। চার জন পার্টির উচ্চ পদস্থ নেতা ছিল এবং দুইজন দালাল। তবে এতেই তদন্ত বন্ধ হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে খুঁজে বের করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন।
এ
মন্তব্য করুন