বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন নয়, সরকার বাল্যবিবাহ বৈধকরণের আইন হয়েছে। আগে যেটা বেআইনি ছিল, সেটা এখন আইনগতভাবে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। আইনে এমনভাবে বলা হয়েছে যে, ঘটনা ঘটানোর পর ক্ষেত্রের পক্ষে যুক্তিটা উপস্থাপনের সুযোগ আপনি পেয়ে যাবেন। সাধারণ কমনসেন্সের কথা অস্বীকার করে আইনটি পাস করেছে সরকার। বললেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত নারী গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিম বলেন, দেশের নারী সমাজ বর্তমানে আরো বেশি করে শোষণ ও ভোগের শিকার হচ্ছে। কম মজুরিতে হাড় ভাঙা পরিশ্রমে তাদের জীবনী শক্তি নিঃশেষ করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে বাড়তি মুনাফার লোভনীয় উৎস হিসেবে। লুটেরা বুর্জোয়া সরকারের পক্ষে নারী মুক্তি তো দূরের কথা, নারীর ন্যূনতম নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করাও সম্ভব নয়। এজন্য নিজেদেরই প্রতিরোধ বাহিনী সংগঠিত করে পাল্টা আঘাত করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সিপিবি সভাপতি বলেন, যারা নারী সমাজকে মর্যাদা দিতে জানে না, তাদের নাম যদি ভুল করে কমিউনিস্টের খাতায় থাকে, আপনারা কেটে দিবেন।
সিপিবির কেন্দ্রীয় নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিপিবি নেত্রী লুনা নূর, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার, নারায়ণগঞ্জের শাহানারা বেগমসহ আরো অনেকে।
সমাবেশের শুরুতে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের কর্মীরা। সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসজে