করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির লড়াইয়ে আবারও বড় ধরনের ধাক্কা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর এবার সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেল জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা টিকার ট্রায়ালও। টিকা নিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবক অপ্রত্যাশিতভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ট্রায়াল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিটি।
তবে ওই স্বেচ্ছাসেবকের কি ধরনের অসুস্থতা দেখা দিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। গত মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে বড় পরিসরে ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করে জনসন অ্যানড জনসন। তখন জনসন জানিয়েছিল, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের টিকা শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।
জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, এক স্বেচ্ছাসেবক অপ্রত্যাশিতভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে আমরা আমাদের করোনা টিকার সব রকম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নতুন করে ডোজ দেয়া বন্ধ করেছি। তৃতীয় পর্যায়ের গ্রুপ ট্রায়ালও বন্ধ করা হয়েছে।
মার্কিন এই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বড় পরিসরের ট্রায়ালে এই ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত নয়। তবে ওই স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার কারণ এই টিকা নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই ফের ট্রায়াল শুরু করা হবে।
এর আগে জুলাই মাসে বানরের শরীরে নিজেদের তৈরি টিকা প্রয়োগ করে জনসন অ্যান্ড জনসন। ওই পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বহু তরুণ-তরুণীর উপর এই টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়। জনসন জানায়, তাদের টিকা প্রয়োগের পর ৯৮ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দুই শতাধিক স্থান ছাড়াও আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, পেরু এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বড় পরিসরে টিকার ট্রায়াল চালাচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
এ