জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা সরকারের একার কাজ নয়। সমাজের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে এটি স্থায়িভাবে সমাধান করা সম্ভব। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানের ৩ দিনের সম্মেলনে উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবার সহযোগিতায় নিয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করবো। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে সরকারের জিরো টলারেন্সের নীতি। খুন, গুম, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আমরা বদ্ধপরিকর।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাস ও জঙ্গি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কোনো সীমানা নেই। তাই যৌথভাবেই তাদের মোকাবেলা করতে হবে। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, গোটা বিশ্বের সমস্যা।
৩ দিনের এ সম্মেলনের প্রথম দিনে কাউন্টার টেররিজমের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেররিজম রিসার্চের অধ্যাপক রোহান গুনারত্নে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সম্মেলন শেষে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় কর্মপন্থা নির্ধারণ করে যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষর হবে।
১৪ দেশের পুলিশপ্রধান ছাড়াও সম্মেলনে আফগানিস্তানের নিরাপত্তাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী আবদুল রহমান, মালয়েশিয়ার আইজিপি খালিদ আবু বকর, মিয়ানমার পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো সু উইন, দক্ষিণ কোরিয়ার সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট জু মিন লি, শ্রীলংকার আইজিপি পুজিথ সন্ধি বন্দরা জয়সুন্দর, ইন্টারপোলের মহাসচিব জারগেন স্টক, আসিয়ানপোলের নির্বাহী পরিচালক ইয়োহানেস আগুস মুলিয়োনো, আইজিসিআইর প্রটোকল অ্যান্ড কনফারেন্স বিভাগের প্রধান সিন লি চুয়া, আইসিআইটিএপির পরিচালক গ্রে বারসহ ৫৮ জন বিদেশি অংশ নিয়েছেন।
এইচটি/এসএস