কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শেষ হচ্ছে সোমবার রাতে। গেলো দু'দিন ধর্ম-বর্ণ ও জাত-পাত ভুলে দেশ বিদেশের কয়েক হাজার লালনভক্ত আর দর্শনার্থীদের ভীড়ে জমজমাট ছিল লালন আখড়াবাড়ি। সোমবার সকাল থেকে সেই আখড়াবাড়ি ফাঁকা হতে শুরু করেছে। ‘আর কি হবে এমন জনম’ এ শ্লোগানের সুর ধরে তৃষ্ণার্ত মন নিয়ে চোখের জলে ভক্ত অনুসারীরা ভবেরহাট লালন আখড়াবাড়ী ছেড়ে যাচ্ছেন।
সোমবার সকাল থেকেই এ উৎসব ছেড়ে সাধু গুরুদের যে যার বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। ভবেরহাট ছেড়ে যাবার সময় মূল মাজারে চিরনিদ্রায় শায়িত ধর্ম গুরু লালন ফকিরের প্রতি বিশেষ ভংগিতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেষে গুরু-শিষ্যরা একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ব্যাথিত মনে ফিরে যাচ্ছেন। আপন ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন লালনের অহিংস মানবতার বাণী। তবে বেঁচে থাকলে পূর্ণতা সাধনে অবারো এখানে আসবেন তারা।
এদিকে, শেষদিনে মাজারের বাইরের মাঠে চলা লালন মেলা এখনো জমজমাট রয়েছে। সোমবার গভীর রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুণ অর রশিদ আসকারির সমাপ্তি ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাধু সঙ্গের এ মিলনমেলা শেষ হবার কথা রয়েছে।
শিষ্য আর অনুসারিদের খাঁটি করে গড়ে তুলতে ফকির লালন জীবদ্দশায় ছেউড়িয়ার এ আখড়াবাড়িতে প্রতিবছর চৈত্রের দোলপূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধুসঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারিরা। এবারো শনিবার থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় লালন একাডেমি লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করে।
এসজে