উপমহাদেশে টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা ১৯৩২ সালে। এরই মধ্যে ৮৫ বছর কেটে গেছে। এ অঞ্চলে টেস্ট অভিষেকের ৬৮ বছর পর টেস্টখেলুড়ে দেশের মর্যাদা পায় বাংলাদেশ।
বুধবার শততম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর পি সারা ওভালে স্মরণীয় ম্যাচে মাঠে নামবে মুশফিকবাহিনী। ২০০০ সালে টেস্ট অভিষেকের পর মাত্র ১৭ বছরে ১শ’ টেস্ট খেলার মাইলফলক স্পর্শ করছে টাইগাররা।
কলম্বোর পি সারা ওভালে ১৯৮২ সালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার টেস্ট যাত্রা। সেই মাঠেই শততম টেস্ট খেলতে নামছে সাকিব-তামিমরা। আর প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
এর আগে সবশেষ নবম দল হিসেবে ২০১৬ সালের অক্টোবরে লঙ্কানদের বিপক্ষেই শততম টেস্ট খেলে জিম্বাবুয়ে। ১৯৯২ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলটির এ মাইলফলক স্পর্শ করতে কেটে যায় ২৪ বছর। সেখানে বাংলাদেশের লাগলো ১৭ বছর।
শুধু জিম্বাবুয়ে নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে এশিয়ার ৩ পরাশক্তি ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এতো অল্প সময়ে শততম টেস্ট খেলতে পারেনি। ১৯৩২ সালে ভারতের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটের পথ চলা। তাদেরই শততম টেস্ট খেলতে কেটে যায় ৩৫ বছর। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শততম টেস্ট খেলে মনসুর আলি খান পাতৌদির ভারত।
অন্যদিকে দেশভাগের ৫ বছর পর ১৯৫২ সালে ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে প্রথম টেস্ট খেলে পাকিস্তান। ১৯৭৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নে শততম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করে দলটি। ওই ম্যাচটি আজও ক্রিকেট বিশ্বে স্মরণীয়। পাকিস্তানি পেসার সরফরাজ নওয়াজ ৮৬ রানে ৯ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন।
১৯৮২ সালে টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার যাত্রা শুরু পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শততম ম্যাচ খেলতে সময় লাগে ১৮ বছর। ওই ম্যাচে ওয়াকার ইউনুস ক্যারিয়ারের ৩শ’ তম এবং ওয়াসিম আকরাম ৪শ’ তম উইকেট পান।
এইচটি/এমকে